টিপস

অনিয়মিত মাসিকের ওষুধের নাম

Rate this post

একটা পরিমাণ আছে কারো কারো কয়েক ফোঁটা দেখা যায় বা প্রথম দিন কিছুটা পরিমাণ দেখা গেল পরের দিন থেকে সামান্য কয়েকটা দেখা দেয় একদিন বাধা দিন বিরত থাকার পর আবার দেখা যায়। অথবা এত পরিমাণে রক্তস্রাব হয় যে মনে ভয় দেখা দেয় এবং মনে হয় এত পরিমাণ অর্থ স্রাব হওয়া মনে হয় উচিত না। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন বেশি পরিমাণ রক্তচাপ হলে রক্তস্বল্পতা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আবার কম পরিমাণ ঋতুস রাগ হলো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে তাই মাসিক জনিত সমস্যার কারণে শ্রেষ্ঠ রোগ হতে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চলুন তাহলে দেখে দেওয়া যাক অনিয়ম মাসিকের ওষুধের কি কি ব্যবস্থা রয়েছে।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন

যদি বছরে তিনবারের বেশি রেজিস্ট্রেশন না হয় যদি ঋতুস্রাবে 21 দিনের আগে এবং 35 দিনের পর হয়। ঋতুস্রাবের সময় বেশি রক্তপাত হলে সাত দিনের বেশি সময় ধরে ঋতুস্রাবের সময় খুব ব্যথা হলে। আপনারা তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন। ঋতুস্রাবের সময় শরীরের ওজন সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মানুষের চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। পুষ্টিকরা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। আয়রন জাতীয় খাবার খেতে হবে যাতে শরীরে পরিমিত পরিমাণের রক্ত থাকে। অনেকের হয়তো মাঝে মাঝে পিরিয়ডের তারিখ পেরিয়ে গেল পিরিয়ড হতে সব সময় দেরি হয়। সাধারণত অনেক বেশি টেস্ট, পরিশ্রম, দুর্বলতা, জীবনযাত্রার বড় কোনো পরিবর্তন এসব কারণে অনেক পিরিয়ড হতে পারে। অনেক সময় ঘরোয়া কিছু উপায়ে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে কিন্তু তাতে কাজ না হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন আপনারা।

অনিয়মিত ঋতুস্রাব বন্ধের কিছু নিয়ম

১.আদা অনিয়মিত প্রিয় ঠিক করার পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালে পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আদা চা চামচ আদা কুচি এক কাপ পরিমাণ পানিতে ফুটিয়ে নিন ৬ থেকে ৭ মিনিট। তারপর এতে মেশান সামান্য চিনি বা মধু এরপর খাওয়ার পর এই মিশ্রণটি এক মাস খেতে হবে।
২. হলুদ হালকা গরম দুধের সাথে মেশানো এক থেকে চার চা চামচ হালকা গরম থাকতে খেয়ে নিন প্রতিদিন খেলে অবশ্যই পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
৩. ধনিয়া ধোকা পানিতে এক চা চামচ আস্ত ধনিয়া দিয়ে অল্প আচে পানিটা ফুটিয়ে নিতে থাকেন যতক্ষণ না সেটা অর্ধেক হচ্ছে। পিরিয়ডের ডেট আসার আগে সপ্তাহে থেকে দিনে তিনবার এই পানি খান।
৪. তুলসী পাতা 1 চা চামচ তুলসির পাতার রস 5 থেকে 6 ফোটা লেবুর রস এক চামচ মধু আর ছোট এক কাপ পানি মিশিয়ে নিন সাথে সামান্য গোলমরিচের দিনে দুবার খেতে পারেন।
৫. তিল ও গুড় এক মুঠো তিন তেলে নিয়ে এক চামচ গুড়ের সাথে মিশিয়ে বাড়তে হবে এই মিশ্রণ প্রতিদিন খালি পেটে খেতে হবে।
৬. দারুচিনি অনিয়মিত পিরিয়ডের পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।। গুঁড়ো দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা নিয়মিত চায়ের সাথে দারুচিয়ে দিতে পারেন।
৭. গাজর আয়রনের একটি ভালো উৎস যা শরীরের হরমোনাল ফাংশন কে সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। এক গ্লাস গাজরের রস প্রতিদিন খেতে হবে তিন মাস পর্যন্ত।
৮. দুই টেবিল চামচ মৌরি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারা রাত। পর দিন সকালে ছেকে নিয়ে খেতে হবে। কার্যকর ফলাফল পেতে একমাস নিয়মিত খেতে হবে মৌরি ভেজানো এই পানি।

এগুলোর পাশাপাশি যে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছে শরীরের ওজন ঠিক রাখা ও নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ধূমপান বা অন্য কোন অ্যালকোহল পানীয় না খাওয়া ইত্যাদি। তবে উপরে যে সব সমাধানে কথা বলা হয়েছে সেগুলো নিতান্তই ঘরোয়া সমাধান। বড় কোন শারীরিক সমস্যার না থাকলে হয়তো দুই তিন মাসের এই ফলাফল পাওয়া যাবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে যদি আপনার অনিয়মিতভাবে পিরিয়ড হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।
Back to top button