দুই রানের মাঝখানের কালো দাগ দূর করার ক্রিম
প্রায় বেশিরভাগ মানুষেরই দুই রানের মাঝখানে কালো দাগ হয়ে থাকে। কিন্তু কেউ জানে না যে কিভাবে এই কালো দাগ দূর করার যায় এবং কি উপায়ে তা সম্ভব। প্রাণের চিপায় কালো দাগ হওয়ার প্রধান কারণ একপ্রকার ছত্রাক যা অপরিষ্কার ও ময়লা জমার কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে। এছাড়া এই ছত্রাক পরিবারের একজনের থাকলেও তার সবার সরাতে পারে। এ কারণে অনেকে হাজার চেষ্টা করেও কালো দাগ দূর করতে পারে না। যদি স্বাভাবিকভাবে দূর হয়েও তবে আবার কালো দাগ দেখা যায়।
আমাদের শরীরের চিপায় চাপায় যত্ন কম নেওয়া হয় এছাড়া সেখানে সহজেই ময়লা জমে থাকে। আমরা অলসতা করে পরিষ্কার রাখি না আর ময়লা জমার ফলে সেখানে নানা রকম ছত্রাকে সৃষ্টি হয়ে থাকে। যার ফলে চিপায় চাপায় কালো দাগ পড়ে। তাছাড়া চিপায় চাপায় অনেক বড় রোগ বা স্থায়ী চর্ম রোগ হতে পারে। এমনকি সেখান থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে তাই সাবধান কোনক্রমে ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না।
রানের চিপায় কালো দাগ দূর করার উপায়
লজ্জাস্থান বা নারী চিপার কালো দাগ দূর করার দুটি উপায় রয়েছে একটি হল ডাক্তারি চিকিৎসা, আর একটি হল নিয়মকানুন মেনে চলা।
ডাক্তারি চিকিৎসা
চিকিৎসা মূলত ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ গ্রহণ করে চিকিৎসা করা। আপনার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারে এবং সে মোতাবেক ওষুধ সেবন করতে পারেন এটা সবচেয়ে নিরাপদ ও ভালো পদ্ধতি। এছাড়া আমার জানা মতে বহুল ব্যবহৃত একটি ক্রিম পেভিটিন ক্রিম ১০০% কার্যকর ও জনপ্রিয় ক্রিম। আমি অনেকটা নিশ্চিত হতে বলতে পারি যে এটা অনেক কাজে দেবে। তাই আপনারা যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমটির বাজার মূল্য ৫৫ টাকা করে। আক্রান্ত স্থানে দিনে দুইবার করে চৌদ্দ দের পর্যন্ত ব্যবহার করুন এবং শুধুমাত্র দেহের বহিরাংশে ব্যবহারের জন্য নির্দেশিত। তাই আপনারা এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন এই কিন্তু ব্যবহার করলে আপনারা আপনাদের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
নিয়ম কানুন মেনে চলা
কিছু নিয়ম কানুন আছে যেগুলো মেনে চললে আপনি সকল প্রকার দাগ দূর করতে পারবেন যেমন সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, শরীরের চিপা চাপার অংশগুলো সবসময় পরিষ্কার রাখা, প্রতিদিন গোসলের সময় ভালো করে পরিষ্কার করা। এছাড়া যেখানে সেখানে ময়লা আটকাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা ইত্যাদি নিয়মকানুন মেনে এই কালো দাগ দূর করতে একটু কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনারা চাইলে এ দুটো পদ্ধতি একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনাদের কালো দাগ খুব তাড়াতাড়ি দূর হতে পারে। এক্ষেত্রে মোটামুটি ভালো হলেই এই দুটো নিয়মও ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না একদম ভালো হয়ে গেছে মনে হল তারপরও অন্তত এক সপ্তাহ ওষুধ এর নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। তাহলে আপনারা এই সমস্যাটা থেকে সমাধান পেতে পারেন।
এতকিছুর পরও অনেকের কালো দাগ দূর হলো শরীরের অন্য অংশের মতো হয় না। একটু কালো থেকে যায় এর কারণ শরীরের অতিরিক্ত চর্বি। শরীরের যে অংশগুলো ভাজ হয়ে থাকে সেখানে হালকা একটু কালো দেখা যায়। আর পরিপূর্ণ কালো দূর করতে সেখানে চড়বে মুক্ত করতে হবে যেন সেখানে শরীর স্বাস হলো চামড়া বেশি ঘাস না হয় এজন্য বিভিন্ন ব্যায়াম করতে হবে।
পরিশেষে, আমরা আপনাদের প্রয়োজনে যতটুক পরামর্শ দেওয়া ততটুকু আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি তাছাড়া আপনাদের আরো কোন কিছু জানা থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
