স্বাস্থ্য
পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ

আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের ধারণা এটা যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে অনেক ধরনের রোগ হয় এবং পরবর্তী আর কখনো বাচ্চা হয় না এরকম ভাবনা ভেবে থাকেন। তবে এটা কিন্তু সঠিক ভাবনা না। দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল অবলম্বন করলে অনেক সময় গর্ভধারণ করতে একটু দেরি হয়। কিন্তু গর্ভধারণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে না বা সন্তান ধারণ ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে না। পিল খাওয়ার পরও মাসিক না হওয়ার কারণ হতে পারে যে নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ দিল সেবন করছেন সে হয়তো গর্ভবতী হয়েছেন তার গর্ভে সন্তান কনসিভ করেছে যে কারণে তার মাসিক বন্ধ আছে। অনেক মহিলাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার পরও বাচ্চা কনসিভ করে ফেলেন।
কিছু কিছু মহিলা খাওয়ার নিয়ম হয়তো জানেন না অথবা ভুল ভাবে থাকেন যার কারণে বাচ্চা কনসিভ করে ফেলে এবং তার মাসিক বন্ধ করে দেয়। কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের পর বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা থাকে কম। তাদের বয়স কম প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের সময় থাকে সন্তান নেওয়ার তাই তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকের পরিবার আছে এই পিল খাওয়াকে তারা সমর্থ করেনা। যার জন্য তাকে পিল খাওয়া ছেড়ে দিতে হয়। আর পিল ছেড়ে দেওয়ার কারণে তাদের গর্ভে সন্তান চলে আসে। যে কারণে তাদের মাসিক বন্ধ থাকে।
পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ
পিল খাওয়ার নিয়ম অনুসারে যদি পিল খাওয়া হয় তারপরও যদি কোন কারণ বসত মনে না থাকার কারণে একটা বিল মিস হয় তাহলে পরবর্তী দিন যখন মনে পড়বে তখনই ওষুধটা খেয়ে নিতে হবে। এবং সেই দিন যে সময়ে ওষুধটা ছিল সেই সময়ও খেতে হবে। সেটাও যদি মনে না থাকে তাহলে নিয়মিত খাবার টাইমে যদি মনে পরে যে ওষুধটি মিস হয়েছে তাহলে তৎক্ষণিক ওষুধ টা খেয়ে নিতে হবে। যদি সারাদিনই মনে না থাকে ওষুধের টাইম যদি রাতে হয়ে থাকে আর খাবার সময় যদি মনে পড়ে আমি আগের দিন ওষুধ খাইনি তাহলে সেই দিন যেদিন মনে পড়লো ওই দিনই দুটো ওষুধ খেয়ে নিতে হবে।
আর কোন নারী যদি ভেবে থাকেন একটা খাইনি পরের দিন কেন দুটো খাব একটাই খাই ওটাই হবে ভুল ওই একটা ওষুধ না খাওয়ার জন্য আপনি কনসিপ করে নিতে পারেন যে কারণে মাসিক বন্ধ থাকবে। লিভার ফাংশনে কোন জটিল সমস্যা থাকলে তাদের হরমোনাল ব্যালেন্স কমে যায় যে কারণে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার পর ও হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক না থাকার কারণে বাচ্চা কনসিভ হয়ে যায়। আর তার জন্য খাওয়ার পরেও তাদের মাসিক হয় না। আবার অনেক অনেক নারীরা আছেন পরিবার পরিকল্পনা করছেন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের মাধ্যমে। কিন্তু তারা নিয়মিত ভাবে পিল সেবন করেন না।
অনিয়মিত ভাবে খাওয়ার কারণে তারা কনসিভ করে ফেলে। কিন্তু তারা ভাবে তারা তো জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছে তারা তাদের হয়তো গর্ভধারণ করবে না। কিন্তু মাসের শেষে দেখা যায় তাদের মাসিক হচ্ছে না। অনেক নারীর থাইরয়েডের সমস্যা থাকে যাদের হাইপার থাইরয়েডিজম এর সমস্যা সেসব নারীদের হরমোনাল ব্যালেন্স কমে যায় যার জন্য তাদের অনিমিত মাসিক হয়ে থাকে এবং তারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় এবং সাথে অনেক সমস্যা দেয় তারা যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশেষ করে পিল। তো তাদের ক্ষেত্রে পিলটা কার্যকারী হয় না বলেই পিল খাওয়ার পরেও তারা কনসিভ করে ফেলে। যেসব নারীরা জটিল কোন রোগে আক্রান্ত, তা যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খেয়ে থাকেন তাহলে তাদের পেলে কাজ করে না বলেই তারা কনসিভ করে ফেলে তার ফলে তাদের মাসিক বন্ধ থাকে। এরকম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নেওয়া দরকার।