মাসিক হওয়ার দোয়া

একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। যা প্রত্যেকটি মেয়েরই নিয়মিত ভাবে প্রতি মাসে হয়ে থাকে। আর যখন এটা নিয়মিত মানের প্রত্যেক মাসে না হয়ে কয়েক মাস পর বা কয়েক বছর পর পর হয়ে থাকে তখন তাকে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়। তখনই মেয়েদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোরআন হাদিসে এমন অনেক দোয়া আছে, যা পাঠের মাধ্যমে আমাদের যেকোনো রোগ নিরাময় করা সম্ভব। বর্তমান আধুনিক যুগে অনেকেই আছেন যারা কোরআন হাদিসের উপরে একটু হলেও আস্থা কমিয়ে ফেলছে। কিন্তু আমরা যদি মন থেকে একটু চেষ্টা করে দেখি কোরআন হাদিস অনুসরণ করি দেখা যাবে যে, ওইখানে সব রকমের রোগ নিরাময়ের দোয়া আছে। যেটা আমরা চেষ্টা করলেই করতে পারি। কিন্তু অনেকেই আমরা সেগুলো খেয়াল করি না।
আমাদের উচিত আল্লাহ তায়ালার উপরে বিশ্বাস রেখে কোরআন হাদিস কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করা। কোরআন হাদিসে কি বলেছেন সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। খুব সুন্দর করে কিন্তু উল্লেখ করা আছে যে, মাসিক নিয়মিত না হলে মাসিক নিয়মিত করার দোয়া। দোয়া গুলো যদি আমরা সঠিক ভাবে চর্চা করতে পারি বা মন থেকে ঠিক মতো আমল করতে পারি, মহান আল্লাহ তায়ালার উপরে বিশ্বাস রেখে, কোরআনের উপরে বিশ্বাস রেখে কোরআনের মাঝে লুকিয়ে রাখা দোয়া গ্রন্থগুলো সেখান থেকে বের করে আমাদের উচিত প্রত্যেকটা রোগ নিরাময় করার দোয়া গুলো পাঠ করা। এই মহান আল্লাহ তায়ালার মহান গ্রন্থ কোরআন শরীফের মাঝে কত রোগের দোয়া যে লুকিয়ে আছে তা আমাদের চিন্তার বাইরে।
আমরা চাইলেই সেখান থেকে খুঁজে সঠিক ধারণা নিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারি। এবং কি অনেক রোগ থেকে পরিত্রান পেতে পারি। মহান আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে আমাদের রোগ থেকে আমরা আরোগ্য পেতে পারি। কোরআন হাদিসে এমন ও কিছু দোয়া আছে যা আমাদের শুধু রোগ না, আমাদের দৈনন্দিন জীবন এ ভালো থাকার, কাজকর্ম ও ভবিষ্যৎ নিয়ে, জীবনে সফল হওয়ার নিয়ম দেওয়া আছে। আমরা তা অনুসরণ করে আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলতে পারি।
নিম্নে দোয়াগুলো দেওয়া হলো
অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার আমল
মাসিক অনিয়মিত হলে, সেই অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করতে চাইলে এ আয়াতটি পড়তে হবে। বা লিখে কবজে ভরে কোমরে নিতে হবে।
(১)
উচ্চারণ: সুম্মুম বুকমুন ‘উমইয়ুন ফাহুম লা-ইয়ারজি‘ঊন।
(সূরা আল বাকারা, আয়াত :১৮)
(২) যাদের অনিয়মিত মাসিক, তারা জমজমের পানিতে বা ভালো পরিষ্কার পানিতে প্রথমে দুরুদ শরীফ কয়েক বার পরে বিসমিল্লাহ সহ সূরা আম্বিয়ার 87 নাম্বার আয়াত পড়তে হবে।
উচ্চারণ: লা-হা ইল্লাআনতা ছুবহা-নাকা ইন্নী কুনতুম মিনাজ্জালিমীন।
প্রতিদিন 341 বার পানিতে ফু দিয়ে 11 দিন পান করবে। শেষে দুরুদ শরীফ পড়ে। পানিতে ফু দিয়ে আল্লাহর কাছে রোগ নিরাময়ের দোয়া করবে।
(৩) (সূরা আল ইমরান আয়াত:১৪৪)
উচ্চারণ: ওয়ামা-মুহাম্মাদুন ইল্লা-রাছুলুন কাদ খালাত মিন কাবলিহির রুছুলু আফাইম্মা-তা আও কুতিলান কালাবতুম ‘আলাআ‘কা-বিকুম।
প্রতিদিন 7 বার করে এই আয়াত পড়ে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি খেলে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হবে। নিয়মিত অনিয়মিত মাসিকের মধ্যে নিয়মিত মাসিকটা সুস্থ সবল মানুষদের হয়ে থাকে আর অনিয়মিত মাসিক হওয়া মানেই রক্তস্বল্পতা বা অন্য কোন অসুস্থতার লক্ষণ। বয়স্ক প্রাপ্ত স্ত্রীলোকের জরায়ু হতে প্রতি মাসে নিয়মিত ভাবে যে রক্তস্রাব হয় তাকে নিয়মিত মাসিক বলা হয়। এটা কমপক্ষে তিনদিন এবং ঊর্ধ্বে ১০ দিন স্থায়ী হয়। ঋতুর স্থায়িত্বকাল সকল স্ত্রীলোকের সমান হয় না। আবার অনেকেরই প্রতিমাসে না হয়ে অনিয়মিত ভাবে তিন মাস ছয় মাস বা এক বছর পর পর রক্তস্রাব হয়ে থাকে তাকে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়। যখন অনিমিত মাসিক হবে তখন আমাদের করণীয় উপরের দোয়া গুলো নিয়ম অনুসারে পাঠ করা। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা সমাধান দিবেন।