সকালের মিষ্টি ঝলমলে আলোর দেহ ও মন দুটোই ভালো রাখে। সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে। আমরা সারাদিন কর্ম ব্যস্ততার মাঝে দিন কাটিয়ে যখন রাতে ঘুমাতে যাই তখন ক্লান্ত শরীর ঘুমিয়ে পড়ে।আর যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই ব্যক্তি সকালের রোদ ,বাতাস ,সূর্যে জিকিমিকি আলো ,পাখির ডাক শুনে তাহলে শরীর খুব সহজে সতেজ ও মুগ্ধ করে তোলে। আর একটা সুন্দর সকাল সারাদিনের কাজের পরিকল্পনা করে দেয়। যদি ঘুম থেকে দেরি করে ওটা হয়। তবে সেই কাজের পরিকল্পনা সঠিক থাকে না।
কথিত আছে, একটি সুন্দর পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। কাজ করতে হলে অবশ্যই শরীরকে ভালো রাখতে হবে এবং তার সাথে মনকেও ভালো রাখতে হবে। কেননা কাজ করতে প্রয়োজন শারীরিক পরিশ্রমের সাথে মানসিক প্রশান্তির। মানসিক প্রশান্তির জন্য মনকে ভালো রাখা। আর মন ভালো রাখার জন্য সকালের আবহাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। সকাল বেলাতে প্রকৃতির সবকিছু সজীব ও সতেজ থাকে। অন্ধকার সরিয়ে যখন সূর্য ওঠে তখন সেই কাচা কাচা রোদ সকালকে সোনালী রোদের আকার ধারণ করে।
সকালের যে কাজগুলো শরীরের জন্য প্রয়োজন
সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির আশেপাশে বা পার্কে অথবা বাগানে যেখানে যানবাহন নাই কোলাহলমুক্ত সে স্থানে হাঁটাহাঁটি করবেন। কি করে শরীরের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকবে। সকালের হাঁটাটা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। আমাদের সমাজে দেখা যায় সকালে ঘুম থেকে উঠে বেড টি খায়। তবে এটা শরীরের জন্য ভালো নয়। সকালে খালি পেটে পানি খেতে হবে। তার পাশাপাশি একটি খেজুর ও মধু খেতে পারেন।
আপনার বাড়ির আশেপাশে খালি জায়গাতে অথবা ছাদে কিছু গাছ লাগাবেন। কেননা সকালে ঘুম থেকে উঠে গাছে পানি দেওয়া হলে গাছের যত্ন করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। শরীর ও মন দুটোই গাছের মতো সতেজ হয়ে উঠবে। গাছ থেকে পাওয়া সিনিগ্ধ বাতাস শরীরকে রোগমুক্ত করে তোলে। যদি শরীরের স্বাস্থ্যকে সবসময় সঠিক ও ভালো রাখতে হয় তবে অবশ্যই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্যায় পড়তে হয়
সর্বপ্রথম যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেটি হচ্ছে। আমরা যে প্রতিষ্ঠান জব করি অথবা আমরা যদি কেও ব্যবসা করে থাকি সেখানে যাইতে আমাদের দেরি হয়ে যায়। আমরা বাসা থেকে আসার সময় নাস্তা করার সময় টুকু সঠিকভাবে পাই না। অফিসে দেরি করে আসার ফলে হয়তো বা আমাদের বস আমাদের বকা দিবে। অথবা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় ক্ষতি হবে। এতে করে আমাদের মন খারাপ থাকলে কাজে মন বসবে না।
কাজ করতে শরীরের ভিতর অস্থিরতা লাগবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোক বা জব করে থাকেন অফিসে সব কাজ করার জন্য অ্যাডফাস্ট আমাদের মাইন্ড ফ্রেশ থাকতে হবে। কেননা কাজ করার জন্য মস্তিষ্ক নির্দেশনা দেয় আমরা কখন কোন কাজ করব। যদি কোন ধরনের প্যারা থাকে অর্থাৎ দুশ্চিন্তা থাকে তাহলে তো আমরা মন দিয়ে কোন কাজ করতে পারবোনা। সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠা হলে সকল কাজের জন্য মনটা ভালো থাকে।
সকালে প্রিয় মানুষকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে পারি
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি আমরা আমাদের প্রিয় মানুষের কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাই। তবে আমাদের মন খুব উৎফুল্ল হয়ে উঠে। মনকে শান্তির জন্য আমরা প্রিয় মানুষকে সকালবেলায় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে আরো বেশি ভালোবাসা অর্জন করতে পারি। ভালোবাসা শুধু দামি গিফট এর মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় না।
ছোট ছোট কিছু মুহূর্তগুলো সম্পর্ককে আরও বেশি দৃঢ় করে তুলে। এজন্য প্রিয় মানুষের কাছে পাঠিয়ে দিন সকালের শুভেচ্ছা বার্তা। যা কিনা আপনাকে অনুভব করতে শেখায় প্রিয় মানুষটিকে। তাই আজ আমরা আপনাদের কাছে প্রিয় মানুষকে সকালের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর জন্য সুন্দর সুন্দর শুভেচ্ছা বার্তা এগুলো নিয়ে এসেছি। আশা করছি আমাদের শুভেচ্ছা বার্তা গুলো আপনাদের পছন্দ হবে এবং সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দিতে পারবেন প্রিয়জনকে।
- সূর্য যেমন আলো দেয়
নদী যেমন স্রোতে ছুটে চলে
ঝরনা যেমন অবলীলায়
ঝরে পড়ে পাহাড় থেকে
আর আমি শুধু তোমারই জন্য
“শুভ সকাল” - রংধনুর সাতটি রং যেমন
একটি রঙে মিলিত হয়
তেমনি সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না অভিমান
মিলে তুমি আর আমি ভালোবাসায় আবৃত
“শুভ সকাল” - তারাগুলি আকাশে যেমন মিটমিট করে জ্বলে
আমার জীবনে তুমি যেমনি মিটিমিটি আলো
” শুভ সকাল” - পৃথিবীতে পারফেক্ট বলে কিছু নাই
সবকিছু মানিয়ে নেওয়াতেই জীবন
আর তুমি ঠিক তাই আমাকে
মানিয়ে নিয়ে ভালোবাসো
“শুভ সকাল” - আমি চাই রাত শেষ করে
সকালের ঘুম ঘুম চোখে
তুমি আমারই দেওয়া
এসএমএস কী পড়ো
আর আমাকে অনুভব করো
” শুভ সকাল” - একটা আকাশ বাতাসের জন্য
একটা নদী সাগরের জন্য
একটা ফুল মৌমাছির জন্য
একটা আমি শুধু তোমার জন্য
“শুভ সকাল” - প্রতিটা সকালে তোমায় শুভেচ্ছা
জানানোর মাধ্যমে আমি তোমাকে
জানাতে চাই আমার অবস্থান
তোমার হৃদয়ের কতটা ভিতরে
” শুভ সকাল”
পরিশেষে বলতে চাচ্ছি যে,আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে দেওয়ার চেষ্টা করেছি সকালে ঘুম থেকে উঠার শরীরের প্রয়োজন, ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে কি সমস্যা হতে পারে ,আবার ঘুম থেকে উঠে আপনি আপনার প্রিয়জনকে কিভাবে এ বার্তা পাঠাতে পারেন। আশা রাখছি আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো আপনাদের কাজে লাগবে দৈনন্দিন জীবনে। নিজেরাও পড়বেন এবং অন্যদেরকেও পড়তে উৎসাহ করবেন পোস্ট টি। এ পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি ,ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।