ট্রাভেল

কক্সবাজার বিমানের ভাড়া ,সময়সূচী ,অনলাইন টিকেট বুকিং ২০২৩

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি শহর কক্সবাজার। কক্সবাজারকে পর্যটনকেন্দ্র বলা হয়ে থাকে। সব থেকে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। কক্সবাজারের দৈর্ঘ্য 155 কিলোমিটার। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব 395 আর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব 148 কিলোমিটার। কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্রটি মূলত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। লাবনী থেকে টেকনাফ 120 কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতে বিশ্বের সর্ব সেরা সমুদ্র সৈকত হিসেবে আখ্যায়িত।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার কে করেছে আরও বেশি আকর্ষণীয় দৃষ্টিনন্দন।প্রতিনিয়ত ও কক্সবাজারে কে কেন্দ্র করে হাজারো পর্যটকেরা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এই কথাটি শুনলেই মনের ভিতর একটি আলাদা আনন্দ উপভোগ হয়। কক্সবাজারে রয়েছে বনজ সম্পদ ,মৎস্য সম্পদ এবং সামুদ্রিক উপাদান যা পর্যটকদের মনকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। কক্সবাজারে রয়েছে নদী-নালার পরিমাণ বেশি যেমন: মাতামুহুরী ,রেজু নাফ, নদী ইত্যাদি।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের যাওয়ার উপায় এবং ভাড়ার তালিকা

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের যাবার জন্য সড়কপথ রেলপথ আকাশপথ তিনটি পথেই আপনি যেতে পারেন। ভ্রমণ শব্দটির অর্থ হচ্ছে আনন্দ উপভোগ করা। সড়ক পথ থেকে কক্সবাজার যেতে হলে ঢাকা থেকে আপনার এসি অথবা নন এসি সার্ভিসে যেতে পারেন। নন এসি সার্ভিস এর 750 টাকা থেকে সর্বোচ্চ 900 টাকা পর্যন্ত ভাড়া। এসির সর্বনিম্ন 1000 টাকা থেকে সর্বোচ্চ 2500 টাকা পর্যন্ত ভাড়া। কিন্তু হ্যাঁ ভ্রমণ মানে আনন্দ উপভোগ করা সড়ক পথ দিয়ে যদি আপনি কক্সবাজার এ ভ্রমণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে সড়কের জ্যাম থাকে। অসুস্থ হয়ে যেতে পারে যার ফলে আপনার ভ্রমণ টি আর উপভোগ হবে না জার্নিতে পরিণত হবে।

রেলপথ থেকে কক্সবাজার যেতে হলে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে যাবার জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্রেন আছে। ট্রেনের
ভাড়া সর্বনিম্ন 280 টাকা থেকে সর্বোচ্চ 500 টাকা পর্যন্ত হয়। ট্রেন পথে ভ্রমণ করতেও অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। ভ্রমণ মানে অপেক্ষার প্রহর না করা।

আকাশ পথ থেকে কক্সবাজার যেতে হলে ঢাকা থেকে মাত্র 1 ঘন্টায় এর প্রয়োজন হয়। কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না বিমানে উঠলেই নিমিষেই পৌঁছে যেতে পারি ভ্রমণের স্থান। উৎফুল্ল মন নিয়ে ভ্রমণটা কে উপভোগ করতে পারি।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবার জন্য বিমান এবং ভাড়া

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স=সপ্তাহে 5 টি
  • নভোএয়ার=সপ্তাহে 28 টি
  • রিজেন্ট এয়ারওয়েজ=সপ্তাহের 7টি
  • ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স=সপ্তাহে 14 টি

ভাড়া

  • নভোএয়ার

2500 টাকা (স্পেশাল প্রমো)

9200 টাকা ( ফ্লেক্সিবল)

  • রিজেন্ট এয়ারওয়েজ

3000 টাকা (সুপার সেভার )

8000 টাকা (বিজনেস ফ্লেক্সিবল)

  • ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স

2500  টাকা (সর্বনিম্ন)

8700 টাকা (সর্বোচ্চ)

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যাবার জন্য যেভাবে টিকিট কাটবেন

কক্সবাজার হচ্ছে ভ্রমণ উপযোগী স্থান। কক্সবাজারে ভ্রমণ করার জন্য তিনটি পথ আছে আকাশপথ, রেলপথ, সড়ক পথ। কিন্তু দূরত্ব কমিয়ে ভ্রমণ উপভোগ করার জন্য আকাশপথে বেছে নেওয়ায় সঠিক। প্রত্যেকে ভ্রমণ করার জন্য বিমানে যাতায়াত এর জন্য বিমানের টিকিট ক্রয় করতে হবে।

আগে ছিল বিমানের টিকিট মানুষের নাগালের বাইরে । কিন্তু তা নয় এখন বিমানের টিকিটের ভাড়া মানুষের নাগালের ভিতরে গেছে। চাহিদামত যেকোনো স্থানে বিমান ভ্রমণে ভ্রমণ করা করা সম্ভব। বিমানে ভ্রমণ করার জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় না কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না শুধুমাত্র নিজের প্রয়োজনের খাতিরে নিরাপত্তার জন্য একটি আইডি কার্ড হলেই চলে। মানুষ এখন অনেকটাই সচেতন । সময়কে মূল্য দিতে শিখেছে। আধুনিক সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে।মানুষ এখন ভ্রমণের জন্য দীর্ঘ সময় আর কষ্ট পেতে না চেয়ে বিমানে ভ্রমণ করে সহজে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

বিমানে যাতায়াত করার জন্য বিমান অফিস থেকে বিমান টিকিট ক্রয় করতে হবে। ওয়েবসাইট থেকে ভিজিট করে বিমানের টিকিট ক্রয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে টিকিট ক্রয় করে বিকাশ অথবা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এজন্য আপনার কোন বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না। আবার যদি কেউ ডিসকাউন্ট এর প্রয়োজন মনে করেন সেক্ষেত্রে আপনি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট ক্রয় করলে ডিসকাউন্ট পেলেও পেতে পারেন।

সর্বোপরি বলতে চাচ্ছি আপনাদের উদ্দেশ্য করে আমরা চেষ্টা করছি ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যাবার জন্য বিমানের টিকিট ভাড়া সময়সূচী এগুলো কিভাবে জানতে পারবেন সেজন্য আপনাদের তথ্য জানানোর সহযোগিতা করেছি। তথ্যগুলো আপনাদের কাজে লাগবে বিমানে যাতায়াত এর জন্য। আপনাদের বিমান যাত্রা শুভ হোক। কোন সমস্যা হলে অবশ্যই বিমান কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। ধন্যবাদ এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য।

Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button