দিবস

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট ২০২৩

৫২ তম জন্মদিনে পা রাখতে যাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক অনন্য গৌরবের বিষয়। বাংলাদেশের বিজয় তাই আনন্দের ঝলকানি প্রত্যাশার চেয়েও অধিক। আসছে বিজয় দিবস। আজকে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করব। বাংলাদেশের গৌরবময় বিজয় পুরো দেশবাসী কিভাবে উদযাপন করবে বিজয় দিবস তা নিয়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট অন্যতম ভূমিকা পালন করবে। বিজয় দিবসের পোস্ট সম্পর্কে অজানা সব তথ্য জানতে হলে সম্পূর্ণ নিবন্ধ জুড়ে সাথে থাকুন।

১৬ই ডিসেম্বর ২০২৩

ডিসেম্বর মাস, বাঙালির জীবনে ইতিহাসের মাস, বেদনার মাস, আনন্দের মাস। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল এ মাসেই। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর হাতে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ পেয়েছিল সার্বভৌমত্ব, পেয়েছিল স্বাধীনতা। স্বাধীনতার স্বাদ কত সুমিষ্ট হয় তা অনুধাবন করতে পেরেছিল ভীত সন্ত্রস্ত বাঙালি জাতি। বিজয়ের সেই দিনটিকে প্রতিটি মুহূর্তে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৬ ডিসেম্বর কে বাংলাদেশের বিজয় দিবস হিসেবে পালন এর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তখন থেকেই বেশ ঘটা করে পালন করা হয়ে থাকে বাংলাদেশের বিজয় দিবস। আজকের নিবন্ধে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস নিয়ে দারুণ কিছু স্ট্যাটাস এবং ছন্দ তুলে ধরা হবে। এজন্য সম্পূর্ণ নিবন্ধ জুড়ে সাথে থাকার আমন্ত্রণ রইল।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট

ব্যক্তিগত জীবন হোক কিংবা সামাজিক জীবন, বাঙালি হিসেবে মাতৃভূমির প্রতি যাদের রয়েছে শ্রদ্ধা তারা ১৬ই ডিসেম্বর তথা বিজয় দিবস এলে ঘটা করে উদযাপন করবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। সকালবেলা জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শারীরিক কসরত এবং কুচকাবাজের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কিংবা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দের অসাধারণ মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ সত্যিই উপভোগ্য হয়ে থাকে। বিজয় দিবস কি এখন আর শুধুমাত্র বাস্তব জীবনে সীমাবদ্ধ না রেখে স্থান দেয়া হয়েছে ভার্চুয়াল জগতেও। ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা কিংবা স্ট্যাটাস শেয়ার করে বিজয়ের আনন্দকে বাড়িয়ে তোলা হয় কয়েক গুণ। আর এজন্যই আজকে হাজির হয়ে গেছি 16 ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট নিয়ে।

বিজয় আমাকে পথ দেখিয়েছে, দিয়েছে বাচাঁর আশ্বাস।
আমি বিজয়ের গান গাই, আমি স্বাধীনতা কে চাই।
আমি বিজয়ের পতাকা ধরে, সারাটি পথ পাড়ি দিতে চাই।
মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল
মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ
সকলকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

আপনার সম্মান তখন বাড়বে।
যখন বিদেশে গিয়ে আপনি নিজের দেশের সম্মান বাড়াতে পারবে।
আর গর্বিতভাবে বলতে পারবেন, আমি বাংলাদেশী।

১টি যুদ্ধ, ৯টি মাস, ৭জন বীরশ্রেষ্ঠ, ১টি দেশ।
সকলকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

১৬ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার।
তুমি কোটি জনতার বিজয় নিশান, স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর।

১৬ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার। তুমি কোটি জনতার বিজয় নিশান, স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর।

১৬ই ডিসেম্বর, তুমি মহা বিজয়ের মহা উল্লাস। তুমি বিধবা মায়ের বন্দী শ্বাসের শান্তির নিঃশ্বাস।

প্রথম বাংলাদেশ আমার, শেষ বাংলাদেশ। জীবন বাংলাদেশ আমার, মরণ বাংলাদেশ…।” সকলকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

সব ক’টা জানালা খুলে দাও না! আমি গাইবো, গাইবো বিজয়েরই গান। ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ…

১টি যুদ্ধ, ৯টি মাস, ৭জন বীরশ্রেষ্ঠ, ১টি দেশ। সকলকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

লাল এর মাঝে ভালবাসা। সাদা এর মাঝে বন্ধুত্ব। নীল এর মাঝে কষ্ট। কালো এর মাঝে অন্ধকার। আর সবুজের মাঝে আমার বাংলাদেশ।

কেমন হবে বিজয় দিবসের পোস্ট?

৩০ লক্ষ তাজা প্রাণের বিনিময়ে আর লক্ষাধিক মা-বোনের ইজ্জত সম্রহের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিমূর্ত ভাবমূর্তি তুলে ধরে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। লাল সবুজের আবহে ফুটে ওঠে গ্রামীণ বাংলার সবুজ মাঠ। বিজয় দিবস কে ঘিরে বাঙালি জনগণ ব্যক্তিগত প্রোফাইলে যে সকল পোস্ট শেয়ার করবেন তা কি ধরনের হওয়া উচিত এ নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়ে অনুসন্ধান করে থাকেন। আপনাদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতেই আজকে বিজয় দিবসের পোস্ট কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরব।

বিজয় মানেই আনন্দ, বিজয় মানেই উল্লাস। আর এই উল্লাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বাংলাদেশের লাখো শহীদের আত্মত্যাগের কথা। আমরা যখন বিজয় দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য ফেসবুক বা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট আপলোড করব তখন অবশ্যই সেই সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা বাঞ্ছনীয়। সেই সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা একান্ত কাম্য। আপনার পোস্টে বিজয় দিবস নিয়ে দারুন কিছু ছন্দ, উক্তি তুলে ধরতে পারেন। এছাড়া আপনার পোষ্টের সাথে বিজয় দিবসের আবহে তৈরি সুন্দর একটি স্থিরচিত্র কিংবা একটি ভিডিও চিত্র তুলে ধরতে পারেন। তাহলে দর্শকদের মাঝে পেয়ে যাবেন অন্যরকম আকর্ষণ। আশা করি এ ধরনের নির্দেশনা মেনে পোস্ট করলে বিজয় দিবসের ভাব ভর্তি সম্পূর্ণভাবে ফুটে উঠবে।

১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় উৎসব বাঙ্গালীদের হৃদয়ে ও মননে থরে থরে গাঁথা। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনারা যারা ফেসবুক পোস্ট লেখার উপায় জানতে চাচ্ছিলেন তাদের জন্য দারুন কিছু দিকনির্দেশনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরেছি। আশা করি আপনার কাঙ্খিত বিষয়টি এখান থেকে জানতে পারবেন। বিজয় দিবসে ই সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বিজয়োল্লাস সম্পন্ন হোক এই কামনা ব্যক্ত করে বিদায় নিচ্ছি।

Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button