মোনাজাত বলতে সাধারণত মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কোন কিছু প্রার্থনা করাকে বোঝায়। প্রতিটি মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে কোন কিছু চাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করে থাকেন। এটি মূলত প্রতিটি মানুষ তার বাস্তব জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার দরবারে নামাজের শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে চেয়ে থাকে। কেননা মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাদের নামাজের শেষের মোনাজাত কে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। তাইতো প্রতিটি মানুষ তার সকল চাওয়া পাওয়া গুলো মোনাজাতের মাধ্যমে পেয়ে থাকে। এজন্যই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের প্রতিবেদনে মোনাজাত নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস বাণী সম্পর্কিত সকল তথ্য। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে মোনাজাত নিয়ে উক্তি বাণী ও স্ট্যাটাস গুলো আপনাদেরকে বাস্তব জীবনে মোনাজাতের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করবে।
মোনাজাত বলতে সাধারণত সৃষ্টিকর্তা কিংবা মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে দুই হাত তুলে কোন কিছু প্রার্থনা করাকে বোঝায়। ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি মানুষ মহান আল্লাহ তাআলার কাছে মোনাজাতের মাধ্যমে কোন কিছু চেয়ে থাকে এবং নিজের মনের সকলের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে। মোনাজাত মূলত নামাজের সাথে সম্পর্কিত একটি বিষয়। ইসলামপ্রিয় প্রতিটি মানুষ মহান আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্টির অর্জনের জন্য নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে এবং প্রতিটি নামাজের শেষে আল্লাহ তাআলার দরবারে নিজের জীবনের সকল অপরাধের জন্য মোনাজাত করে থাকে এবং সেই সাথে নিজের মনের সকল চাওয়া পাওয়া গুলো মহান আল্লাহ তাআলার কাছে জানিয়ে থাকে। একজন ব্যক্তি জীবনে মোনাজাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা মহান আল্লাহ তাআলার কাছে মোনাজাতের মাধ্যমে চাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মোনাজাত নিয়ে উক্তি
আমরা আজকে সকলের মাঝে মোনাজাত নিয়ে বেশ কিছু উক্তি তুলে ধরব। আমাদের আজকের এই মোনাজাত নিয়ে উক্তিগুলো আমরা মুসলিম মহামনিষদের জীবনী থেকে সংগ্রহ করেছি যেগুলো প্রতিটি মানুষকে মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে মোনাজাত করতে উৎসাহ প্রদান করবে। আমাদের আজকের এই মোনাজাত নিয়ে উক্তিগুলো আপনাদের প্রত্যেক কে কে বাস্তব জীবনে মোনাজাতের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করবে। তাই আপনারা আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে মোনাজাত নিয়ে উক্তি গুলো সংগ্রহ করুন এবং আপনার বাস্তব জীবনে তা অনুশীলন করুন।
> যে নিজে সর্তকতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না।
( হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু )
> মাতা পিতা কে কষ্ট দিবে না। তারা যদি তোমাকে তোমার শান্ত সন্ততি ও বিষয় সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তবুও।
( আল হাদিস )
> মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু।
( হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু )
> নিজের মর্যাদা বোঝে না, অন্যরাও তার মর্যাদা বোঝে না।
( হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু )
> ধন সম্পদ হচ্ছে কলহের কারন, দুর্যোগ এর মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন।
( হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু )
> আবু হুরায়রা ( রা )বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন দুটি কাজ এমন যে মুখে উচ্চারণ করা অতি সহজ, পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। তা হল সুবাহানাল্লাহ হি ওয়া বিহামদিহি সুবহা নাল্লাহিল রাজিম।
মোনাজাত নিয়ে স্ট্যাটাস
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলামিক স্ট্যাটাস হিসেবে মোনাজাত নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো শেয়ার করতে চান। তাদের জন্য আজকের প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে যেখানে আমরা মোনাজাত নিয়ে বেশি স্ট্যাটাস তুলে ধরেছি। আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে মোনাজাত নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে মোনাজাত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিতে পারবেন। আমি আপনার সকল বন্ধুদের মাঝে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করতে পারবেন। নিচে মোনাজাত নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো তুলে ধরা হলো:
- মোনাজাত – শহীদুল ইসলাম প্রামানিক খালি হাতে মোনা জাতে ফেলছি চোখের জল স্রোস্টা তুমি দ্রোস্টা তুমি তুমিই মোদের বল।
- সৃস্টি ধ্বংস প্রাণী বংশ সবই তোমার হাতে আমরা তুচ্ছ মানব গুচ্ছ সন্দেহ নাই তাতে।
- তোমার দ্বারে বারে বারে চাচ্ছি পানা তাই তুমি ছাড়া প্রভু হারা অন্য কেহই নাই।
মোনাজাত নিয়ে বাণী
এখন আমরা আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে মোনাজাত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণী গুলো উপস্থাপন করব। প্রতিনিয়ত মোনাজাত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণী গুলো খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আজকের এই পোস্টটি দেখে নিন। কেননা আমরা আপনাদের জন্য মোনাজাত নিয়ে সকল ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বাণী উপস্থাপন করেছে যেগুলো আপনাদের সকলকে মোনাজাত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে সাহায্য করবে। নিচে আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে মোনাজাত নিয়ে বাণী গুলো তুলে ধরা হলো:
> কার সাথে কথোপকথনের বিনয়ী হওয়াটা একজন ব্যক্তির জন্য আবশ্যক।
( ইমাম আল কুরতুবি ( রহিমাহুল্লাহ )
> নিজেকে আল্লাহর রহমত সমূহের কথা নিজেকে বেশি করে স্মরণ করিয়ে দিন,কেননা যিনি বেশি বেশি স্মরণ করেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সম্ভাব্য বেশি থাকে।
(উমার বিন আব্দুল আজিজ ( রহিমাহুল্লাহ )
> আপনি যখন কোনো সৃষ্টিকে ভয় করবেন তখন তার থেকে দূরে পালাতে চেষ্টা করবেন। আর আপনি যখন আল্লাহকেভয় করবেনকখন থাকে ভালোবাসবেন এবং তার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্ঠা করবেন।
(ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম ( রহিমাহুল্লাহ )