আপনি কি অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান নাম্বার বের করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই নিবন্ধে আমরা অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান নাম্বার বের করার সমস্ত পদ্ধতি আলোচনা করব। এই নিবন্ধটি আপনি ভালো করে অনুশীলন করলে অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান নাম্বার বের করার সমস্ত প্রক্রিয়া জানবেন। এবং আপনি কোন রকম তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়াই খুব সহজে জমির খতিয়ান নাম্বার বের করতে পারবেন। আমরা এই নিবন্ধের জমির খতিয়ান নাম্বার বের করার সমস্ত পদ্ধতি তুলে ধরেছি।
খতিয়ান নম্বর কি?
আপনারা অনেকেই হয়তো খতিয়ান নম্বর সম্পর্কে জানেন না। খতিয়ান নাম্বার কি এবং কেন ব্যবহার করা হয় সে বিষয়ে আমরা এখানে আলোচনা করেছি।মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে।
এখন প্রশ্ন হলো খতিয়ান নম্বর কয় প্রকার? সাধারণত তিন প্রকার খতিয়ান নম্বর পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
- বিএস খতিয়ান
- এস এ খতিয়ান এবং
- আর এস খতিয়ান।
বিএস খতিয়ানঃ ১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিন গণপ্রতিরোধ খন্ড পরিমাপ করে আয়তন সহ যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে মালিক তার বিবরণ সম্বলিত যে খতিয়ান তৈরি করে তাকে সিএস খতিয়ান বলে।
এস এ খতিয়ান: ১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন, সেই সময় বি এস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করে তাকে এস এ খতিয়ান বলে। এই খতিয়ানকে বাষট্টির খতিয়ান নামেও বলা হয়ে থাকে।
আর এস খতিয়ানঃএকবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত।
জমির দাগ নম্বর বের করার নিয়ম জানতে ক্লিক করুন।
অনলাইনে জমির খতিয়ান ডাউনলোড করার উপায় ২০২৩
বর্তমান সরকারের ডিজিটালাইজেশনের ফলে সবকিছু হাতের নাগালে পাওয়া যায়। এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনের মাধ্যমে জমির তথ্য প্রদান করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জমির খতিয়ান নম্বর অনলাইন থেকে বের করে নেওয়া সম্ভব। এর ফলে কোন রকম তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়াই জমির খতিয়ান নম্বর বের করা যাচ্ছে। ফলে অর্থ ও টাকা দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। কিভাবে অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান নাম্বার বের করব এই বিষয়ে আপনাদের অবগত করছি।
দাগ নম্বর দিয়ে মালিকের নাম বের করার উপায় জানতে ক্লিক করুন।
জমির খতিয়ান নাম্বার বের করতে হলে আপনাকে ই-পর্চা www.eporcha.gov.bd এই ঠিকানায় যেতে হবে। এ ঠিকানায় গিয়ে নিম্নবর্ণিত কাজগুলো সম্পাদন করলেই আপনি খুব সহজে জমির খতিয়ান নম্বর বের করতে পারবেন।
ই ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি সম্পাদন করতে হবে সেটি হল। আপনি যে পোর্টালটি দেখতে পারবেন সেখানে খতিয়ান অনুসন্ধান করুন এই ঘরে ক্লিক করার পর আপনার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য যাবে। যেহেতু আপনি খতিয়ান নম্বর অনুসন্ধান করতেছেন সেহেতু আপনি খতিয়ান নম্বর ছাড়া বাকি সব তথ্য পূরণ করে ক্যাপচা কোড পূরণ করে সাবমিট করুন। যা যা লাগবে আমি আবারও বিষয়গুলো তুলে ধরলাম।
- প্রথমে বিভাগ সিলেক্ট করুন।
- জেলা সিলেক্ট করুন।
- উপজেলা সিলেট করুন।
- মৌজা নাম, নম্বর সেলেক্ট করুন ।
- যেহেতু খতিয়ান নাম্বার বের করবেন তাই এই জায়গাটি ফাকা রাখুন।
- দাগ নম্বর দিন।
- মালিকের নাম দিন।
- মালিকের পিতা অথবা স্বামীর নাম দিন।
- এরপর ক্যাপচা ঘরটি পূরন করুন।
- অনুসন্ধান বাটনে টিপ দিলে আপনি খতিয়ান নাম্বার দেখতে পারবেন।
অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই করার উপায় জানতে ক্লিক করুন।
এছাড়াও আপনি জমির দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর, মালিকের নাম জমির পর্চা, কিছুই অনলাইনে বের করতে পারবেন। সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ই-পর্চা অ্যাপ চালু করেছে আমরা এই ওয়েবসাইটে সেই অ্যাপটি ডাউনলোড লিংক যুক্ত করেছি। আপনি চাইলে সেখান থেকে এই প্রচার অ্যাপসটি ডাউনলোড করে আরো সহজেই এই সকল কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। এবং আপনি কিভাবে জমির সকল তথ্য অথেন্টিক কপি হাতে পাবেন হোম ডেলিভারি মাধ্যমে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যাতে আমাদের অন্যান্য পোস্টগুলো ভিজিট করুন। আমরা সেই সকল পোষ্টের লিঙ্ক এই নিবন্ধ সংযুক্ত করেছি।
![সঞ্চয়পত্র কি? কিভাবে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে টাকা জমাতে হয়? সুদের হার [বিস্তারিত] 2 সঞ্চয়পত্র কি? কিভাবে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে টাকা জমাতে হয়? সুদের হার [বিস্তারিত]](http://i0.wp.com/infovandar.com/wp-content/uploads/2022/06/%E0%A6%B8%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BF.png?fit=390%2C220&ssl=1)





