টিপস

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সর্তকতা

Rate this post

গর্ভবতী হওয়ার প্রথমে দেখে কোন কিছুই ফিল করা যায় না এরপর আপনার বড় ভাব পরিবর্তন আসে। তারপর মর্নিং দেখতে দেখতে বাচ্চা পেটের ভেতরে নড়াচাড়া শুরু করে দেয়। প্রেগনেন্সির সময়টিকে তিন মাস করে ভাগ করে করা হয়। একজন নারীর শরীরের গর্ভাবস্থার প্রথম তিন ম্যাচে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শরীরে প্রতিটা অঙ্গে প্রভাব পড়ে। পরিবর্তনগুলো বাহ্যিকভাবে প্রকাশ না হলেও শরীরের অভ্যন্তরে হয়।। প্রেগনেন্সি হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বমি বমি ভাব ও ভূমির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো কারো বিভিন্ন জিনিসের গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। এছাড়াও যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় তা হল অত্যন্ত দুর্বল অনুভব করা, স্তন নরম হওয়া ও ফুলে যাওয়া, পেট খারাপ হওয়া, খাবারে অরুচি বাবু খুব বেশি ক্ষুধা পায়, মেজাজের পরিবর্তন, কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া করা, ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া মাথাব্যথা ইত্যাদি।

প্রথম তিন মাসে ভ্রুনের বৃদ্ধি

আমেরিকান কলেজ অফ অবসটেট্রিশিয়ান অ্যান্ড গাইনোকলজিস্ট এর মতে গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে বাচ্চা হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের গঠন হওয়া শুরু হয়। এই সময়ে বেবির হাত, পা, মস্তিষ্ক, স্নায়ুর অর্জুন, এবং স্নায়ুর গঠন ও শুরু হয়ে যায়। ভ্রূণের আকার তখন হয় একটি মটর দানার মত। দ্বিতীয় মাসে ভুনের আকার বৃদ্ধি পেয়ে সিমের বিচির মত হয়। গড়ালি, কব্জি, আঙ্গুল ও চোখের পাতা গঠিত হয়। হারের প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে যৌনাঙ্গ এবং অন্তরকণ্য এরও বিকাশ শুরু হয়। দ্বিতীয় মাসের শেষের দিকে ভ্রুনের আট থেকে দশটি প্রধান অঙ্গ গঠিত হয়। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের গর্ভপাত হয় ও ভুলে জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তাই এ সময়ে ক্ষতিকর কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে হার ও পেশির বৃদ্ধি শুরু হয় ভবিষ্যৎ দাঁতের জন্য ভিত্তি তৈরি হয় এবং হাত ও পায়ের আঙ্গুলের বৃদ্ধি হয়।। এই সময়ে অন্তের গঠন হয় এবং ভ্রুনের ত্বক প্রায় সচেতন থাকে।

সুস্থ থাকার উপায়

গর্ভকালে প্রসাবের সংক্রমণ হতে পারে অনেকেরই। যদি তার সময় মত শনাক্ত না করা হয় তবে অপরিণত প্রসব হতে পারে। তাই প্রশাস পরীক্ষা করতে হবে যদি সংক্রমণ থাকে তবে দ্রুত চিকিৎসা করে পরামর্শ নিয়ে উঠতে হবে। সাধারণত চিকিৎসা করালে প্রসবের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। আর এই বা রিসার্চ ফ্যাক্টর জানতে রক্তের পরীক্ষা করতে হবে সেই সঙ্গে জানতে হবে রক্তে আইরনের পরিমাণ। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নির্ণয়ের রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

  • পাশাপাশি রুবেলা, এইচআইভি, হেপাটাইটিস, সিফিলিস রয়েছে কিনা জানতেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে এই সময়।
  • ধূমপায়ী নারীকে গর্ভকালে অবশ্যই এই অবস্থায় থাকতে হবে এ সময়ে অ্যালকোহল সেবন একেবারে অনুচিত এতে সন্তানের স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদী বাজে প্রভাব পড়ে থাকে।
  • পুরো গর্ভকালে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে তাই প্রথম তিন মাসে তো অবশ্যই।
  • প্রথম তিন মাসে খাবার পরিমাণ খুব বেশি বাড়াতে হবে না তবে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
  • খাবার থেকে জরুরী ফলিক এসিড ও আয়োডিনের চাহিদা পূরণ একটু মুশকিল তাই সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে গর্ভবতীকে।
  • শরীর চর্চা গর্ভবতীকে সুস্থ রাখতে যদি নারী তাদের কোন অসুবিধা বোধ করে তবে চিকিৎসককে জানাতে হবে।
  • ভালো হয় প্রথম তিন মাসে কোন সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে এতে নিজের ও গর্বের শিশু সুস্থ নয় পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া যাবে।

পরিশেষে, তিন মাসের গর্ভবতী যত্ন সহকারে আমরা এখানে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করলাম।

Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।
Back to top button