চুল লম্বা করার ঘরোয়া পদ্ধতিসমূহ ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম,আজ আমরা আপনাদের কাছে চুল লম্বা করার জন্য ঘরোয়া কিছু টিপস নিয়ে এসেছি, চুল হচ্ছে প্রতিটি মেয়ে মানুষের খুবই পছন্দনীয়। সেই চুল যদি রুক্ষ, ছোট, প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ে যায় তবে এক্ষেত্রে সবারই মন খারাপ হয়ে থাকে। তাই চুল পড়া রোধ করা কিভাবে চুল লম্বা করা এবং তার সঙ্গে কীভাবে চুলের যত্ন নেয়া যায় এ সম্পর্কে কিছু তথ্য নিম্নে প্রদান করা হল।
চুল পড়ে যাচ্ছে এবং বৃদ্ধি পাচ্ছে না এ সম্পর্কে কিছু টিপস
আমরা অনেকেই চুলে তেল না দেওয়ার কারণে চুল পড়ে যাচ্ছে কিন্তু আমরা প্রায় প্রতিদিনই চুলে শ্যাম্পু দেই। শুধু শ্যাম্পু দিলেই হবে না তেল চুলের জন্য ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা শ্যাম্পু।আমাদের উচিত প্রথমে চুলে সুন্দর করে কাস্টার ওয়েল বা নারকেল তেল দিয়ে মেসেজ করতে হবে তারপরের দিন সকালবেলা সেই চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। যার ফলে চুলের রুক্ষতা দূর হয়ে যাবে এবং চুলে ঝট ধরে রাখবে না চুল সিল্কি হবে ও চুলের গোড়া শক্ত হবে। সহজে ভাঙবে না আর চুলের প্রয়োজনে যতটুকু তেল চুল নিয়ে নিবে।
কম ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করতে হবে এটি চুলের জন্য ক্ষতিকারক। ক্ষার রাসায়নিক যুক্ত শ্যাম্পু চুলের জন্য ক্ষতিকর চুল বৃদ্ধি হতে ব্যাহত করে শুধুমাত্র চুলের ফ্যাশান স্টাইল এর জন্য ব্যবহার হয়। শুধু চুলের স্টাইল ফ্যাশন এর উপর লক্ষ্য রাখলে হবে না চুল বৃদ্ধির উপর লক্ষ্য রাখতে হবে তাই এমন প্রডাক্ট চুলের জন্য বর্জন করতে হবে।
চুলের বৃদ্ধির জন্য যে ঘরোয়াভাবে সকল প্রোডাক্ট চুলে ব্যবহার করতে হবে
- রাইস ওয়াটার বা চালের পানি: এর মধ্যে অনেকেরই জানা আছে চাল শুধুমাত্র একটি খাবার। কিন্তু না যুগ যুগ ধরে চাল সুন্দর্য চর্চার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রাইস ওয়াটার বা চালের পানি চুলের জন্য বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। এর যুগে চীন জাপানিরা চুলের যত্নের জন্য চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করত। চালের ধোয়া পানি দিয়ে চুল ধুলে চুলের রুক্ষতা ভাব দূর হয়ে যায়। তালুর কিউটিকেলাস কে মসৃণ রাখে। যেভাবে তৈরি করতে হবে: ১/২কাপ চাল,২-৩কাপ পানি,৫-১০ফোটা এসেনশিয়াল ওয়েল
- ডিম ও মধু: ডিম ও মধুর চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল কে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। যে ভাবে তৈরি করবেন:১টি ডিমের কুসুম ১চামচ মধু
- পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। পেঁয়াজের রস চুলের জন্য খুবই উপকারী। পেঁয়াজের রস চুলে ময়েশ্চার করে মাথা ঠান্ডা রাখে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। যত্নের জন্য পেয়াজ রস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।যেভাবে তৈরি করবেন:১টি পেয়াজ,১/২কাপ নারকেল তেল
- মেথি: মেথি চুলকে বৃদ্ধি করতে খুব সাহায্য করে। চুলের গোড়া কে শক্ত করে। চুলের ভিতরে রুক্ষতা ভাব দূর করে চুলকে মসৃণ করে।যেভাবে তৈরি করবেন: ১/২কাপ মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ব্লেন্ড করে চুলে দিতে হবে।
- পেয়ারাপাতা অয়েল: পেয়ারা পাতা চুলের জন্য উপকারী। চুলের রুক্ষতা দূর করে। চুলকে ঘন এবং লম্বা করতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতা পিয়াজ,মেথি ও নারকেল দিয়ে তৈরি এই তেলটি চুলের বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে। যেভাবে তৈরি করবেন:৫টি পেয়ারা পাতা, ১টি পেয়াজ, ১/২কাপ, নারকেল তেল, ১চামচ মেথি।
- অ্যালোভেরা ওয়েল: অ্যালোভেরা অয়েল চুলের জন্য উপকারী। চুলের ঘনত্ব বাড়ায় চুলকে কালো করে চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া বন্ধ করে।
সর্ব পরিশেষে বলতে চাই, আমরা চেষ্টা করছি, আপনাদের উদেশ্য টিপস তথ্য প্রদান করা আশা করছি এগুলো আপনারা আপনাদের জীবনের জানবেন এবং অন্য কে জানাতে সাহায্য করবেন।