দিবস

মহান বিজয় দিবসের স্লোগান ২০২৪

স্বাধীনতা এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হল, স্বাধীনতা একটি শব্দ এ শব্দটি শুধু শব্দই নয় এটি অহংকার একটি জাতির গর্ব স্বাধীনতা অর্জন করতে একটি জাতিকে দীর্ঘ লড়ায় এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জন করতে হয়। শোষকদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করে একটি জাতি যখন নিজেকে পরিচালনা করে তখন তারা স্বাধীন। তাই স্বাধীনতা অর্জন করতে আমাদের বহু ত্যাগ তিতিক্ষা প্রয়োজন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে পাকিস্তান একে রাষ্ট্র তৈরি হয়। এই রাষ্ট্রে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জাতির ওপর নানা ধরনের অত্যাচার এবং শোষণ করতো। বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সকল কিছুই নিয়ন্ত্রণ করত পশ্চিম পাকিস্তান। তাই পূর্ব পাকিস্তান নানাভাবে শোষিত হতো পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে। এমনকি পূর্ব পাকিস্তানের মুখের ভাষা মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে তারা প্রত্যাখ্যান করে উর্দু ভাষা চালুর জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে গেছে। কিন্তু বাঙালি জাতি ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য সালাম বরকত রফিক আরো অনেকেই জীবন দিয়ে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করেছে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালির জাতীয়তাবাদের প্রথম পদক্ষেপ। বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৯৫২ সাল থেকেই শুরু করেছে নানা ধরনের প্রতিবাদ তারা প্রদেশিক নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন প্রত্যেকটি পর্যায়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে পূর্ব পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করতে চাইলে পশ্চিম পাকিস্তান খাজা নাজিমউদ্দিন এবং আরো অনেকেই তা প্রত্যাখ্যান করে এবং বাঙালি জাতিকে নানাভাবে শোষণ করে। আইয়ুব খান ইয়াহিয়া খান প্রত্যেকেই যেন বাঙালি জাতির রক্ত চুষে বাঙালি জাতিকে নিঃস্ব করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পারিনি ৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন এবং 1971 সালের অসহযোগ আন্দোলন বাঙালি জাতির জাতীয়তাবাদের বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ ইয়াহিয়া খান ভোট এবং রাও ফরমান আলী অপারেশন সার্চলাইট এর মত নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাঙালি জনগণের উপর 25 শে মার্চ কাল রাতে চালিয়েছেন। কিন্তু বাঙালি জাতি ভয়-ভীতি হয়ে পালায়নি।

১৯৭১ সালে ৭ ই মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালে ১৯শে মার্চ গাজীপুরে সশস্ত্র আন্দোলন ঝাপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এরপর থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে নানা ধরনের আন্দোলন। মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ১১ টি সেক্টরের বিভক্ত করা হয়। প্রত্যেকটি সেক্টরে একজন সেক্টর কমান্ডার থাকে এবং সম্পূর্ণ বাংলাদেশের মোট ৬৪ টি সাব সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি বাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা চিনি এনেছে। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে হাজারও মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আজ এই স্বাধীনতা অর্জন করেছে বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের সৈন্যদের নিয়ে আত্মসমর্পণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তাই বাঙালি জাতি তাদের বিজয় উপলক্ষে ১৬ই ডিসেম্বর নানা ধরনের আনন্দ উদযাপনের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করে আজকের এই অনুচ্ছেদে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় দিবসের স্লোগান শেয়ার করা হয়েছে।

মহান বিজয় দিবসের স্লোগান

১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতি তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে শত্রুমুক্ত করে বাংলাদেশকে। তাই 16 ডিসেম্বর নানা ধরনের কার্যক্রম যেমন প্রভাত ফেরী, শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ প্যারেড কুচকাওয়াজ এবং মহান বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা এছাড়া নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়। এই দিনটিতে গ্রামে গঞ্জে নৌকা বাজ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খেলাধুলা আয়োজন করে দিনটি উদযাপন করে। তাই মহান বিজয় দিবসের কিছু স্লোগান আজকের এই অনুচ্ছেদে শেয়ার করা হয়েছে। এ সকল স্লোগান আপনি মহান বিজয় দিবসে আপনার প্রোফাইলে শেয়ার করতে পারবেন অথবা বিভিন্ন ধরনের ব্যানারে এ সকল স্লোগান ব্যবহার করতে পারবেন। নিচে মহান বিজয় দিবসের স্লোগান শেয়ার করা হলো।

১৬ই ডিসেম্বরের স্লোগান

আপনাদের জন্য আজকের এই অনুচ্ছেদে ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কিছু শ্লোগান শেয়ার করা হয়েছে। এই স্লোগানগুলো আপনি স্ট্যাটাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যানারে শেয়ার করতে পারবেন। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই এই স্বাধীনতা উপলক্ষে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করা হয়। বিজয় দিবসের প্রতিপাদ্য কিছু স্লোগান অনুচ্ছেদে নিসে শেয়ার করা হলো।

১৯৭১ সাল বাঙালি জাতির জন্য অস্তিত্ব রক্ষার সময়। আর তাই ৩০ লক্ষ শহীদ এবং মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি হানাদারী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে এবং বিজয় দিবস 16ই ডিসেম্বর দেশকে শত্রুমুক্ত করেছে। তাই এই বিজয় দিবস উপলক্ষে এই অনুচ্ছেদে কিছু স্লোগান শেয়ার করা হয়েছে। এ সকল স্লোগান মনোযোগ সহকারে পাঠ করে শেয়ার করুন। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে এ পর্যন্তই।

Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button