টিপস

বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করার আইন

প্রেম ভালবাসার জীবনে যে কোন সময় আসে। প্রেমগুলো আসল অর্ধেক সময় ভুল মানুষের সাথে। ভুল মানুষের সাথে প্রেম করলে জীবনে খুব বড় ভুল করতে হয়। যেমন ধরুন আপনি কোন বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন। আপনি কি বিবাহিত মহিলা কে বিয়ে করার আইন সম্পর্কে অবগত? আপনি যদি বিবাহিত মহিলা কে বিয়ে করার আইন সম্পর্কে অবগত না হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের অনুচ্ছেদ হতে বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করার আইন সম্পর্কে জানতে পারেন। আমরা বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করার আইন সম্পর্কে আলোচনা করছি।

তাই বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করার জন্য আগে আইন গুলো সম্পর্কে ধারণা নেওয়া আপনার একান্ত প্রয়োজন। বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করার আগে ২-৩ বার একটু ভেবে নিন এবং আমাদের এই অনুচ্ছেদটি ভালো করে পড়ে নিন তাহলে আপনি সমস্ত বিষয়ে ভালো করে বুঝতে পারবেন।

বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী এবং মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী একটি বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করার জন্য আপনাকে যে সকল আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে তা নিচে তুলে ধরেছি। একে একে বাংলাদেশ সংবিধানের যে সকল আইন আছে সে সম্পর্কে আলোচনা করব এবং মুসলিম পারিবারিক আইন কি বলে সে বিষয়ে আপনাদের অবগত করব।

বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করার আইনি প্রক্রিয়া

কোন বিবাহিত মহিলার প্রতি আপনি যদি দুর্বল হয়ে থাকেন এবং সেই মহিলাটিকে যদি বিয়ে করতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো। সেই মহিলাটিকে আগে ওর সামনে থেকে তালাক নিয়ে নিন। একবার তালাক হয়ে গেলে ওই মহিলাকে বিয়ে করার আর কোন আইনি জটিলতায় পড়তে হবে না। তখন আপনি নিশ্চিন্তে সেই মহিলাটিকে বিয়ে করতে পারবেন। যদি আপনি সেই মহিলাটিকে পূর্বের স্বামী হতে তালাক না নিয়েই বিয়ে করেন তাহলে আপনাকে যে সকল আইনি প্রক্রিয়া পড়তে হবে তা নিজে আলোচনা করা হলো।

বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করার মুসলিম পারিবারিক আইন

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী যে অধ্যাদেশ জারি হয়েছিল । তাতে বলা আছে, স্বামীকে তালাকের নোটিশ প্রদান প্রবক নব্বই দিনের মধ্যে সেই তালাক কার্যকর হয়। অর্থাৎ পূর্বের স্বামীকে তালাকের নোটিশপত্র পাঠিয়ে দিয়ে ৯০ দিন পর সেই মহিলার নিশ্চিন্তে অন্য স্বামী গ্রহণ করতে পারে।

এই বিধান লঙ্ঘন করে প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বলবৎ থাকাবস্থায় স্ত্রী যদি স্বামীর জিম্মা থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করেন সেক্ষেত্রে প্রথম স্বামী সেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত স্ত্রী বাংলাদেশের ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন। সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই আইনের কিছু ব্যতিক্রম থেকে যায়। সেক্ষেত্রে, যদি প্রথম স্বামী গত সাত বছর যাবত স্ত্রীর কোন খবর না নেয়, প্রথম স্বামী জীবিত থাকা অবস্থা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে স্ত্রী নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। নতুন বিবাহর ক্ষেত্রে স্ত্রী কোন ফৌজদারী মামলায় শাস্তিযোগ্য হবে না।

কারো বিবাহিত স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গেলে আইনি প্রতিকার কী?

কারো বিবাহিত স্ত্রীকে আপনি যদি জোরপূর্বক কিংবা ভালোবাসার টানে বিয়ে করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফোজদারি মামলায় পড়তে হবে। এক্ষেত্রে মামলাটি আরো জটিল আকার ধারণ করবে যদি আপনার স্ত্রী (যে মহিলাটিকে আপনি) করলেন সে যদি সাক্ষ্য দেয় যে, তাকে জোরপূর্বক অথবা ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে বিবাহের জন্য রাজি করিয়েছেন। তাহলে আপনার নিম্নোক্ত শাস্তি হতে পারে।

অন্যের স্ত্রী জানা সত্ত্বেও কোনো বিবাহিত নারীকে কোনো পুরুষ যদি ফুসলিয়ে বা প্ররোচনার মাধ্যমে যৌনসঙ্গম করার উদ্দেশে কোথাও নিয়ে যায় বা একই উদ্দেশে কোথাও আটকে রাখে তাহলে সেটি একটি অপরাধ যা দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডনীয়, অথবা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।

আমরা আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা হতে আপনি দিতে পেরেছেন কোন বিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করার জন্য কি রকম আইনি জটিলতা পড়তে পারেন। আপনি যদি কোন বিবাহিত মেয়েকে পছন্দ করে থাকেন অথবা তাকে বিয়ে করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে সবচেয়ে ভালো উপায় হল সেই মেয়েটিকে আগে ওই স্বামীর হাতে তালাক নিয়ে নিন।

Md Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button