দ্রুত ওজন বাড়ানোর উপায়
সুপ্রিয় পাঠক, ইনফো ভান্ডার এর এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আমারা আজকের এই নিবন্ধে কিভাবে সহজে ই ওজন বৃদ্ধি করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা সহজেই নিজের ওজন বৃদ্ধি করতে চান তারা এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকুন থাকুন।আমাদের এই চাকচিক্যময় পরিবেশে মানুষ মাত্রই সুন্দরের পূজারী। আর নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন ফিট থাকা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের ওজন একটু কম বা শারীরিক ভাবে রুগ্ন, তাদের ফিট থাকার জন্য অবশ্যই তাদের শরীরে ওজন একটু বৃদ্ধি করা অবশ্যক। শরীরের একটি সুনির্দিষ্ট ওজন না থাকলে অনেক জায়গায় নিজেকে আন ফিট মনে হয়। তাই সুস্থ সুন্দর এবং সাবলীল জীবন যাপনের জন্য সুঠাম দেহের প্রয়োজন, আর এজন্য দরকার ওজন বৃদ্ধি করা। অতি সহজেই কিভাবে নিজের ওজন বৃদ্ধি করা যায় এর সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছি।
শরীরের ওজন বেশি হয়ে গেলে কমানো যেমন কঠিন তেমনি কম ওজন থেকে শুবেশি ওজন করাও বেশ কঠিন। কিন্তু আপনি যদি সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করেন তাহলে অবশ্যই কম সময়েই আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। আমরা আমাদের এই নিবন্ধে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য যে নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করতে বলবো তা আপনার দৈনন্দিন জীবনে আলাদা কোন ঝামেলা তৈরি করবে না। আপনি সঠিকভাবে নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করলে খুব দ্রুত সুফল পাবেন।
দ্রুত ওজন বাড়ানোর উপায়
দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে আপনার ওজন কম থাকার কারণ কি? আপনি কি বংশগতভাবেই শুকনো? নাকি কম খাবার খান বলে আপনার ওজন কম? ওজন কম হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, আপনার শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে আপনার ওজন কম হতে পারে। তাছাড়া শরীরের মধ্যে কোন রোগ আছে কিনা সেটা চিহ্নিত করাও অবশ্যক। তাই প্রথমেই আপনি চিহ্নিত করুন আপনার মোটা না হওয়ার কারণ কি?
১; রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোঃ
একটা মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্যবান হওয়ার পরও রোগপ্রতিরোধ কম হওয়ার কারণে শরীর ভেঙে যায়। তাই আপনাকে আগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।যদি তা কম হয় তাহলে তা বাড়াতে হবে। এটা করতে আপনাকে দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই ,গো্ল, ছানা ইত্যাদি খেতে হবে। ভিটামিন ডি এর জন্য কিছুটা সময় আপনি আপনার শরীরটাকে রোদে লাগাতে পারেন।
২; শরীরচর্চা
মনে করতে পারেন আপনি তো হালকা পাতলা, কেন আপনি ব্যায়াম করবেন ? কিন্তু শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার পেশি শক্ত হবে এবং খাওয়ার রুচি বাড়বে ফলে আপনার ওজন বাড়াতে তা আপনাকে কার্যকরী ভূমিকা দিবে
শুধু নিদ্রা গেলে হবে না ,আপনাকে দেখতে হবে আপনার নিদ্রা টা সুখকর কিনা । ষ্ট্রেচ ফ্রি হয়ে আপনাকে ঘুমাতে হবে । আর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে।
কারণ আপনার ওজন বাড়াতে ঘুম কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চেষ্টা করবেন কাজের ফাঁকে বিকেলে একটা ঘুম দিতে।বিকেলের ঘুম খুব তারাতারি ওজন বাদাতে সাহায্য করবে।
৩;খাবারঃ
আপনাকে অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে হবে।
এরপর আপনাকে কিছু কার্যকরী খাবার খেতে হবে। ওজন বাড়ানোর জন্য এই খাবারগুলো খুবই দরকার। তার মধ্যে রয়েছে দুধ আর মধু। এটা যদি মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য ওজন বাড়ানো সহজ হয়ে যাবে ।
বেশি ভালো হবে যদি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দুটি কাজু বাদাম ও দুটি কিশমিশ খান ।বেশি করে বাদাম খান কারণ বাদাম ওজন বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ওজন বাড়ানোর কার্যকরী সব খাবার আপনি সব সময় আপনার সাথে রাখার চেষ্টা করবেন। যেগুলো আপনার দুই ঘন্টা পর পর খেতে হবে সেগুলো আপনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানে আপনার সাথে করে রাখতে পারেন ।
আমরা অনেকেই ফাস্ট ফুড কে খুব একটা পছন্দ করি না । কিন্তু আপনি যেহেতু হালকা-পাতলা যেহেতু আপনার মোটা হওয়ার একটা আকাঙ্ক্ষা আপনার মনের মধ্যে আছে সুতরাং আপনি ফাস্টফুড জাতীয় কিছু খাবার খেতে পারেন । ওজন বাড়াতে এই খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । এরমধ্যে থাকতে পারে আইসক্রিম, কোলড্রিং, বার্গা্র, সি
তাই আপনি চাইলে এসব খেতে পারেন তবে পরিমাণমতো।
এই খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ওজন বাড়ানোর জন্য এগুলো খুবই কার্যকরী।
তার মধ্যে আছে চর্বিযুক্ত খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাছ, চর্বিযুক্ত মাংস, রাখতে পারেন।
আর চেষ্টা করবেন আপনার প্রতিটা সবজিতে যেন আলু থাকে । কারণ আলু তারাতারি ওজন বাডাতে সাহায্য করে।প্রতিদিন ঘুমোতে যাবার আগে দুধ এবং সকালে ডিম খান।
দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য যদি আপনি আমাদের এই নির্দেশনা গুলো যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি অবশ্যই নিজের ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।
এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।