টিপস

মেয়েদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন এর মধ্যে এক শ্রেণীর মানুষ হলো তারা, যারা যত্ন, মনোযোগ আর গুরুত্ব এর সাথে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। কোরআনের বিভিন্ন সুরায় এ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাহাজ্জুদ নামাজ নফল ইবাদত গুলোর মধ্যে অন্যতম। আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:) কে এই নামাজ পড়তে বিশেষ ভাবে নিদেশ দিয়েছেন।

একজন মুমিনের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ, কর্তব্য বা আবশ্যক। কিন্তু এর পাশাপাশি বিভিন্ন রকম সালাত আল্লাহ তায়ালা রেখেছেন নফল ও ফরজ হিসেবে। তার মধ্যে সব থেকে ফজিলত পূর্ণ সালাত হলো তাহাজ্জুদ সালাত। আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করতে পারবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছাকাছি যেতে পারবে আল্লাহ তাআলার কাছে যে কোন চাওয়াকে পেশ করতে পারবে একমাত্র তাহাজ্জুদ সালাতের মাধ্যমে।

তাহাজ্জুদ অর্থ হলো ঘুম থেকে উঠে যে সালাত আদায় করা হয় অর্থাৎ ফজরের পর থেকে মাগরিবের পর, এশার নামাজের পরে ও ভোরের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যায়। তাহাজ্জুদ নামাজ আর দশটি নামাজের মতোই, এর নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তাহাজ্জুদ নামাজ হলো নফল নামাজ। তাই এই নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেই কেউ চাইলে দুই রাকাত, চার রাকাত, আট রাকাত অথবা সর্বোচ্চ ১২ রাকাত যে যতটুকু পারবে ততটুকুই পড়তে পারবে।

তাহাজ্জুদ নামাজ যেভাবে পড়তে হয়

প্রথমে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর জায়নামাজের দোয়া পড়তে হবে

দোয়াটি হলো: নাওয়াইতু আন উছোয়াল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকাতাই ছলাতিত তাহাজ্জুদী সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তায়ালা মুতাওজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহ আকবর।

বাংলায়: আমি আল্লাহর অয়াস্তে কেবলার দিকে মুখ করিয়া তাহাজ্জুদের দুই রাকাত সুন্নত নামাযের নিয়ত করলাম।
নিয়ত পড়ে তাকবিরে তাহরিমা আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাঁধতে হবে। তারপর সানা পড়তে হবে। ছানা শেষে অন্য সব নামাজের মতই সুরা ফাতেহার পরে যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। তবে যত বেশি সময় ধরে দোয়া পাঠ করা যায় , দোয়ার উপর যত সময় ব্যয় করা যাবে ততই উত্তম। দোয়া শেষ করে রুকর তসবি পড়তে হবে। তারপর সেজদা তসবি পড়তে হবে। তারপর উঠে দাঁড়াতে হবে আগের মতো নিয়ত বাধা অবস্থায় সূরা ফাতিহা ও তার সাথে অন্য একটি সূরা পাঠ করতে হবে। তাহাজ্জুদ নামাজে যেহেতু বেশি সময় ব্যয় করা উত্তম সেক্ষেত্রে সুরা ফাতিহার পর সুরার মধ্যে যে সুরা গুলো অনেক বড়, অনেক সময় ধরে পাঠ করা যায় সেই সুরা পাঠ করাই বেশি ভালো। তারপর তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ ও দোয়ায় মাছুরা পড়ার পড়ে সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করতে হবে। কেউ চাইলে দুরুদ শরীফ পাঠটা বেশি সময় নিয়ে পাঠ করতে পারবেন তাতে সালাতেও বেশি সময় ব্যয় হবে। একই ভাবে দুই, দুই রাকাত করে ১২ রাকাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতে পারবে।

Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button