রংপুর এক্সপ্রেস (Rangpur Express) ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, বিরতি স্টেশন, সুযোগ সুবিধা, বন্ধের দিন ও বিস্তারিত
রংপুর এক্সপ্রেস বাংলাদেশের আন্তঃনগর ট্রেন গুলোর মধ্যে একটি। আপনি যদি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা বিরুদ্ধে স্টেশন ও বন্ধের দিন সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এ নিবন্ধটি আপনার জন্য। আজ এই নিবন্ধে আমরা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত একটি আন্তঃনগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেস। এটি মূলত রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরের বিভাগীয় শহর রংপুর পর্যন্ত চলাচল করে। এটি যাত্রাপথে টাঙ্গাইল সিরাজগঞ্জ পাবনা নাটোর বগুড়া এবং গাইবান্ধা জেলা কে অতিক্রম করে। এই ট্রেনটি 2011 সালে বিশ্বে মার্চ তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন রংপুরে সকালে ঢাকা রংপুরের মধ্যে একটি নতুন ট্রেন চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই ঘোষণা মোতাবেক ওই বছরের 21 শে আগস্ট রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
আমরা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা। আর ইন্টারনেটের সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার অনুসন্ধান করা হয় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও বন্ধের দিন। আমি নিচে একটি টেবিল এর মাধ্যমে খুব সহজে বোঝানোর চেষ্টা করব। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন নং ৭৭১ হিসেবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টায় রংপুর রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছে। আবার, ফিরতি পথে ট্রেন নং ৭৭২ হিসেবে রংপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে ছেড়ে ভোর ৬টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে। রবিবার এর সাপ্তাহিক ছুটি।
স্টেশন | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
ঢাকা টু রংপুর | সোমবার | ০৯ঃ১০ | ১৯ঃ০৫ |
রংপুর টু ঢাকা | রবিবার | ২০ঃ১০ | ০৬ঃ১০ |
রংপুর এক্সপ্রেস
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সম্পদ। এটি উত্তর এর সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেন গুলোর মধ্যে একটি। ট্রেনটির সম্পর্কে সংক্ষেপে একটু জানিয়ে দেই।এই ট্রেনটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তুলে ধরা হল: রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন নং 771/৭৭২. ট্রেনটির পদযাত্রা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রংপুর রেলওয়ে স্টেশন। রংপুর রেলস্টেশন থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনের দূরত্ব হচ্ছে 405 কিলোমিটার যাওয়ার সময় লাগে। ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন চলাচল করে রবিবার বাদে।
- পরিষেবা ধরন – আন্তঃনগর ট্রেন
- বর্তমান পরিচালক – বাংলাদেশ রেলওয়ে
- পথ যাত্রা – কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
- শেষ যাত্রা – রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- দূরত্ব – ৩৯৪ কিলোমিটার
- গড় যাত্রার সময় – ০৫ ঘণ্টা ৩0 মিনিট
- পরিষেবা ফ্রিকোয়েন্সি – ৬ দিন
- অপারেটিং গতি – ৯৫ কিলোমিটার পার ঘন্টা
- গাড়ির সংখ্যা -১২
- রেল নাম্বার-৭৯১/৭৯২
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা অনেকেই ইন্টারনেট অনুসন্ধান করেন। আমরা এখানে সর্বশেষ আপডেট রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা সংযুক্ত করেছি। যদিও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন একটি বিলাসবহুল এবং দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রেন তারপরেও এর ভাড়ার তালিকা নাগালের বাইরে নয়। এই ট্রেনে খুব স্বল্প খরচে ভ্রমণ করা যায়। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন শোভন চেয়ার স্নিগ্ধা এবং এসি সিট পাওয়া যায়। শোভন 390 টাকা, শোভন চেয়ার 465 টাকা, স্নিকধা 620 টাকা, এবং এসি সেট 930 টাকা।
পুরো বিষয়টি ভালো করে বোঝানোর জন্য আমি একটি টেবিল সংযুক্ত করলাম।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন | ৩৯০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৪৬৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৬২০ টাকা |
এসি সিট | ৯৩০ টাকা |
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরের জনপদ রংপুর পর্যন্ত চলাচল। এর চলাচল রোডে বিভিন্ন স্টেশনগুলো অতিক্রম করে। নিচে আমি এর প্রধান কয়েকটি স্টেশনে বিরোধী স্টেশনের সময় তুলে ধরলাম।
বিরতি স্টেশন নাম | ঢাকা থেকে | রংপুর থেকে |
বিমান বন্দর | ০৯ঃ৩৭ | ০৫ঃ৩৫ |
বি-বি-পূর্ব | ১১ঃ৩০ | ০৫ঃ৩৫ |
চাটমোহর | ১২ঃ৫২ | ০৩ঃ৫৯ |
নাটোর | ১৩ঃ৫৯ | ০১ঃ০৬ |
সান্তাহার | ১৫ঃ১০ | ০০ঃ০৫ |
বগুড়া | ১৫ঃ৫৪ | ২৩ঃ১৪ |
সোনাতলা | ১৬ঃ২৬ | ২২ঃ৪৪ |
বোনারপাড়া | ১৬ঃ৪৩ | ২২ঃ১৯ |
গাইবান্ধা | ১৭ঃ১৪ | ২১ঃ৫৬ |
বামনডাঙ্গা | ১৭ঃ৪৬ | ২১ঃ২৪ |
পীরগাছা | ১৮ঃ০৬ | ২১ঃ০৫ |
কাউনিয়া | ১৮ঃ২২ | ২০ঃ৩০ |
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তির স্থান গুলো
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন টিকেট টিকেট আপনি অফলাইন অনলাইন দুই ভাবে পাবেন। অফলাইনে টিকিট কাটতে হলে রংপুর স্টেশনে অথবা ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটতে হবে। এছাড়াও রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে অথবা ঢাকা থেকে রংপুর আসার বিরতি স্টেশনগুলোতে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
- দেশের সকল টিকেট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
- অনলাইন বা ওয়েবসাইট থেকেও টিকিট কাটা যাবে
- তাছাড়াও *131#ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যায় এবং পরে কফি সংগ্রহ করতে হবে.
- ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের খাবার ব্যবস্থা
পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের আরেকটি প্রধান সুবিধা হলো এর উন্নত মানের ক্যান্টিন ব্যবস্থা। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভ্রমণ রত অবস্থায় আপনি এর ক্যান্টিন থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার সংগ্রহ করতে পারবেন। এজন্য রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন খুবই বিখ্যাত।আসুন আমরা দেখে নেবো নিচের তালিকা থেকে সকল খাবারের নাম. তাছাড়াও এখানে বিভিন্ন প্রকার কোমলপানীয় ও মিনারেল ওয়াটার পাওয়া যায়. আরো ট্রেনটিতে পত্র পত্রিকা ও ম্যাগাজিন এর ব্যবস্থা রয়েছে.
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
- বায়োটয়লেট সংযোজন ।
- প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য রয়েছে হুইল চেয়ার সুবিধা
- আধুনিক মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, পার্সেল রেট.
- খাবার গাড়ি অত্যাধুনিক ডাইনিং সুবিধা ব্যবস্থা
- অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রেন থামানোর বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত এলার্ম চেইন কুলিং সিস্টেম
- প্রতিটি কোষ স্টেনলেস স্টিলের তৈরি এবং অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা সম্বলিত
- মোবাইল চার্জার এর ব্যবস্থা রয়েছে
- ট্রেনটিতে রয়েছে অজুখানাসহ নামাজ ঘর
- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়েছে
- আধুনিক অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে