ছোট বাচ্চাদের ঘুমানোর দোয়া, তাড়াতাড়ি ঘুমানোর দোয়া বাংলা
আপনার সন্তান কি ঘুমোতে চাচ্ছে না, আপনাকে অযথা বিরক্ত করছে। ঘুমানোর সময় হয়েছে কিন্তু এখনো ঘুমাচ্ছে না, এরকম সমস্যার সমাধানের জন্য আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা কিছু টিপস আপনাদের মধ্যে শেয়ার করব। তাই বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর দোয়া আমার এই অনুচ্ছেদ হতে এখনই সংগ্রহ করতে পারেন। আমরা আমাদের জন্য বাচ্চাদের ঘুম পড়ানোর দোয়া এই অনুচ্ছেদে সংযুক্ত করব।
হযরত মুহাম্মদ (সা) যখন বিভিন্ন কারণে তো চিন্তা গ্রস্ত ছিলেন ঘুমাতে সমস্যা হতো তখন দোয়া পড়ে নিজেকে শান্ত করিয়ে ঘুমিয়ে পড়তেন। এরকম আরো অনেক ঘটনা প্রবাহ আছে যেগুলো থেকে ঘুম পড়ানোর দোয়া সব থেকে বেশি হাইলাইট হয়েছে। তাই এই অনুচ্ছেদে আমরা ঘুম পাড়ানোর দোয়া সম্পর্কে আপনাদের অবগত করতে এসেছি। দোয়া পড়লে আপনার বাচ্চা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে এবং আপনাকে বিরক্ত করবে না। এছাড়াও কোন দোয়া পড়ে আপনার বাচ্চার কান্না থেমে যাবে সেই সকল দোয়া এই অনুচ্ছেদে আমরা শেয়ার করব।
হযরত হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নিজ বিছানায় শোয়ার সময় (ঘুমানোর আগে) নিজ হাত গালের নিচে রাখতেন।
অতঃপর তিনি ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন-
اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْي
ঘুমানোর দোয়া বাংলায়ঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু আহইয়া।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।
বাচ্চাদের ঘুম পড়ানোর দোয়া
বাচ্চারা ঘুম পছন্দ করে। তাই তারা অধিকাংশ সময় খেলাধুলা এবং ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। বিভিন্ন কারণে বাচ্চাদের চোখ থেকে ঘুম উঠে যেতে পারে। একবার ঘুম উঠে গেলে সেই বাচ্চার বাবা-মা ব্যাপক সমস্যায় পড়ে যায়। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য সাধারণত মায়েরা বিভিন্ন হুজুরের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। হুজুররা বাড়িতে এসে বাচ্চাদের উপর ঝাড়ফুঁক করে শান্ত করার চেষ্টা করে। আপনার আশেপাশে যদি কোন হুজুর না থেকে থাকে তাহলে আপনি নিজে নিজেই কিছু দোয়া কালাম আমল করে পরে আপনার বাচ্চাকে ঘুম পাড়াতে পারেন। তাই আমরা কিছু ঘুম পাড়ানোর দোয়া এই অনুচ্ছেদে শেয়ার করলাম।
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়ার মাধ্যমে তাঁর আদরের নাতি হাসান-হুসাইনের জন্য পরিত্রাণ চাইতেন-
উচ্চারণ : আউ`জু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিং কুল্লি শাইত্ব-নিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিং কুল্লি আ`ইনিল লা-ম্মাহ।
অর্থ : ‘প্রত্যেক শয়তান হতে আল্লাহর পূর্ণ কালেমা দ্বারা তোমাদের দু’জনের জন্য পরিত্রাণ চাচ্ছি। আর পরিত্রাণ চাচ্ছি প্রত্যেক বিষাক্ত কীট হতে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর চক্ষু হতে।’ (বুখারি, মিশকাত)
বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া
বাচ্চারা অনেক সময় অযথা খুব বেশি কান্নাকাটি করে থাকে। কোন কিছুতেই বাচ্চার কান্না থামানো সম্ভব হয় না। এমত অবস্থায় বাচ্চাদের কান্না থামানো খুব জরুরি হয়ে ওঠে। বাচ্চার সব থেকে প্রিয় জিনিসটি তার হাতে দিলেও বাচ্চা কান্না থামায় না বরঞ্চ আরো বেশি কান্নাকাটি করা শুরু করে। এর প্রধান কারণ হলো বিভিন্ন দোষ, দোষী বাচ্চার হয়ে যেতে পারে। এমত অবস্থায় আপনি আপনার বাসায় কোন হুজুর ডেকে এনে বাচ্চাকে একটু ঝাড়ফুঁক করিয়ে নিলে বাচ্চার কান্না অটোমেটিক্যালি থেমে যাবে। কিন্তু হাতের কাছে কোন হুজুরকে পাওয়া না গেলে আপনি কিছু দোয়া পড়ে আপনার বাচ্চার কান্না থামাতে পারবেন। আসুন বাচ্চা থামানোর দোয়া গুলো দেখে নেই ।
- সূরা ইখলাছ ১৫ বার পাঠ করে বাচ্চার বাড়ির দিকে ফু দিলে কান্না ভালো হয় ।
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ – اللَّهُ الصَّمَدُ – لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ – وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ : কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুচ্চামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।’ (মাখরাজসহ বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নেয়া জরুরি )
অর্থ : (হে রাসুল! আপনি) বলুন, তিনিই আল্লাহ, একক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস)