দিবস

সৌদি আরবে ঈদুল আযহা কবে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম প্রিয়, পাঠক-পাঠিকা আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে।সৌদি আরব হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের মাথা আমাদের বাংলাদেশের মানুষের রমজান ঈদ উল ফিতর ঈদুল আযহা সবকিছুতে সৌদি আরব কে ফলো করে থাকে। আরবে যে দিন ঈদ উদযাপিত হয় । ঠিক তার পরের দিন আমাদের বাংলাদেশে ঈদ উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করতে থাকে সৌদি আরবে ঈদ এর জন্য। ঈদের চাঁদ না দেখা গেলে আমাদের দেশে চাঁদ দেখার অপেক্ষার করা হয় না।

সৌদি আরবে কত তারিখে ঈদ উদযাপিত ২০২৪

সৌদি আরবে কত তারিখে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে সে সম্পর্কে নিম্নে তথ্য প্রদান করা হলো: চাঁদ দেখা কমিটি ইসলামী ফাউন্ডেশনের সবাই একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে 29 জিলকদ রোববার সন্ধ্যায় পবিত্র হজের মাস গণনা করা শুরু হয়। পবিত্র ঈদুল আযহার দিন ধার্য করা হয়। বাংলা এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ঈদুল ফিতরের 70 দিন পর অর্থাৎ দুই মাস দশ দিন পর ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবে জিলকদ মাসের 9 তারিখে পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হয়। ঈদুল আযহা অর্থাৎ কুরবানীর দিন সৌদি আরবে হজ পালিত শেষ হজের সময় যারা হজ করতে চায় তারা ওই দেশে কোরবানির দিয়ে থাকে দুম্বা উট ইত্যাদি দিয়ে।

কুরবানীর পশু জবাই করার দোয়া

কুরবানীর পশু জবাই করার সময় যে দোয়াটি নিম্নে দেওয়া হল: পশু জবাই করার সময় মুখে উচ্চস্বরে দোয়া করা জরুরি নয়। অবশ্যই মনে মনে নিয়ত করা যায় ,আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী করতেছি। তবে মুখে দোয়া পড়া উত্তম।
কুরবানীর পশু কেবলার দিক শোয়ানের পর এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে:
উচ্চারণ:ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি পাথর সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়া
ওয়া সামাতি লিল্লাহি রব্বিল আলামিন। লা শারিকালাহু ওয়া বি জালিকা উমিরতূ ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন আল্লাহুম্মা মিনকা ও লাকা।

অতঃপর বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে কুরবানীর পশু জবাই করা।

পশু জবাই করার পরেই দোয়া পাঠ করতে হবে:
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল আল্লাহু মিন্না তাকাব্বাল ওয়া খালিলিকা ইয়ারহিমা আলাইহিমাস সালতা ওয়াস সালাতয়

ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ কিভাবে হল

ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ এ সম্পর্কে কিছু তথ্য নিম্নে বলা হলো: আরবি জিলহজ্ব মাসের 9 তারিখে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালিত হয়। এই ঈদেকে কুরবানির ঈদ বলা হয়ে থাকে। এই দিনে প্রত্যেক মুসলমান ধর্ম ত্যাগের প্রতীক হিসাবে গরু ,ছাগল ,ভেড়া, মহিষ, দুম্বা কুরবানী দিয়ে থাকেন। ইসলামে কুরবানী সম্পর্কে অনেক বাণী আছে। আর সেই বাণীতে বলা হয়েছে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন হযরত ইব্রাহিম আলাই সালামকে কে স্বপ্নে তার প্রিয় বস্তু কুরবানী করতে বলেছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী হযরত ইব্রাহিম আলাইস সালাম তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল আলাইস সালাম কে কুরবানী দিতে যাচ্ছিলেন। আর ঠিক তখনই আল্লাহ পাক ইসমাইল এর পরিবর্তে দুম্বা কুরবানী দিতে বলেছিলেন। আর এরপর থেকেই সারা বিশ্বের মুসলমানরা মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য প্রতিবছর জিলহজ্ব মাসের 9 তারিখে পশু কোরবানির মাধ্যমে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত করে থাকেন।

ঈদুল আযহার দিন বা কুরবানীর দিন সুন্নত সমূহ

ঈদুল আযহার দিনে অর্থাৎ কুরবানীর দিনে যে কাজগুলো মুসলমানদের জন্য সুন্নাত সে সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা দেয়া হলো: ত্যাগ উৎসর্গের ঈদ হল পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির দিন। এই দিনে প্রত্যেক মুসলমান তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানী করে থাকেন। ঈদের দিন প্রথমে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে আতর সুগন্ধি মেখে ছেলেরা ঈদগাহে নামাজ আদায়ের জন্য যায়। যাবার সময় কিছুই না খেয়ে যায় । পশু কুরবানীর আগে কিছুই খাওয়া যায় না। পায়ে হেঁটে ঈদের নামাজ পড়তে যায় এক রাস্তা দিয়ে যায় আর অন্য রাস্তা দিয়ে আসে। নামাজে যাওয়ার সময় তাকবীর পড়তে পড়তে যায়।
তাকবীর হলো” আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ,আল্লাহু আকবার ,আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ”। নামাজ শেষ করে বাসায় এসে পশু কুরবানীর উদ্দেশ্যে যায়।

সৌদি আরবে ঈদুল আযহা বা কোরবানির দিন

সৌদি আরব ঈদুল আযহা বা কোরবানির দিন যেভাবে পালন করা হয় নিম্নে এ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হল: সৌদি আরব হচ্ছে মুসলমানদের সর্ব বিশ্বের মাথা। ঈদের নামাজ ,নতুন পোশাক ,ঐতিহ্যবাহী খাবার ,অসহায়দের সাহায্য করা আর প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানো ও হয়ে থাকে ঈদের এই দিনটিকে ঘিরে। ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ঘর সাজানো হয়ে থাকে ইসলামী ভালো খাবার অতিথি আপ্যায়ন নানা আয়োজনে ব্যস্ত থাকে সৌদি আরব। ঈদের দিন সৌদি মুসলমানরা অসহায় ও দরিদ্র এর সাহায্য করে থাকে। মানুষের মাঝে উদারতার কোন কমতি থাকে না ঈদের দিনে। এই দিনে সৌদি বাসীরা বাজার থেকে বেশি করে চাল কিনে আনে আর তা দরজার বাইরে রাখে।

যেন অসহায় ও অভাবগ্রস্থ মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে নিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয়তা মেটাতে পারেন। এছাড়াও এই দিনটিতে গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে এই দিনে অনেক দোকানে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড় থাকে। এই ঈদের দিন পুরুষরা পরে কান্দার নামের সাদা পোশাক আর নারীরা পরে থাউক নামের বিশেষ পোশাক। ঈদের দিনে তারা আতশবাজি দেখে এবং ঈদ উপলক্ষে একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানায়। এভাবে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সৌদি আরবে পালিত হতে থাকে ঈদের দিন।

পরিশেষে বলতে চাচ্ছি, যে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা প্রদান করেছি এ সৌদি আরবের ঈদের তথ্যগুলো,আশা করছি আপনারা এই তথ্যগুলো পড়ে ভাল লাগবে এবং উপকারে আসবে আপনারা নিজেও জানবেন এবং অন্যকে জানাতে সাহায্য করবেন। এতক্ষণ ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের সঙ্গে থাকছেন। এজন্য আপনাদের হৃদয়ের হৃদয় থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল। ধন্যবাদ।

Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button