পহেলা ফাল্গুনের স্ট্যাটাস ২০২৩, পহেলা বসন্ত নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস
সম্মানিত পাঠক, আজকের এই নিবন্ধে আমরা পহেলা ফাল্গুনের স্ট্যাটাস ২০২৩ সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি। পহেলা ফাল্গুন বাংলাদেশের একটি অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান। প্রতিবছর বাংলাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পহেলা ফাল্গুন পালিত হয়ে থাকে। পহেলা ফাল্গুন পালন করার জন্য প্রতি বৎসর মানুষজন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পহেলা ফাল্গুনের স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে। আপনিও যদি পহেলা ফাল্গুনের স্ট্যাটাস দিয়ে পহেলা ফাল্গুন পালন করতে চান তাহলে এই নিবন্ধ থেকে পহেলা ফাল্গুনের সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস পাবেন। এই স্ট্যাটাস গুলো আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে শেয়ার করে বন্ধু-বান্ধবদের পহেলা ফাল্গুনের শুভেচ্ছা জানাতে পারবেন। তাই আপনি যদি পহেলা ফাল্গুনের স্ট্যাটাস অনলাইন অনুসন্ধান করেন তাহলে এই ওয়েবসাইট থেকে পহেলা ফাল্গুনের সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।
পহেলা ফাল্গুন বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে কবে থেকে পালিত হয় তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হয় বাংলার এই অঞ্চলের প্রাচীন আমল থেকেই বসন্ত উৎসব পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু পহেলা ফাল্গুন সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন এর বাড়িতে যখন বিশেষ নিত্য গীত এর মাধ্যমে বসন্ত উৎসব পালনের রীতি চালু হয়েছিল সেই সময়ে পহেলা ফাল্গুন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে।
চৌদ্দশ এক বঙ্গাব্দ থেকে বাংলাদেশে পহেলা ফাল্গুনের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের প্রচলন শুরু। সেই সময়ে ঢাকায় জাতীয় বসন্ত উৎসব পরিষদ গঠিত হয়। এবং জাতীয় বসন্ত উৎসব পরিষদ তখন থেকে নিয়মিতভাবে পহেলা ফাল্গুন পালন করে থাকে।
বসন্তের শুভেচ্ছা ছন্দ ও পহেলা ফাল্গুনের স্ট্যাটাস
ফাল্গুনের শুভেচ্ছা বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপনি যদি অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিতে চান তাহলে এই নিবন্ধ থেকে পহেলা ফাল্গুনের সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। আমি পহেলা ফাল্গুনের সুন্দর সুন্দর ইউনিক স্ট্যাটাস এই নিবন্ধের সংযুক্ত করেছি ।
ধরণী আজ উঠিছে সাজি
মনের দক্ষিণ দার খুলে দেবো আজি
মাতাল হবো সুখে আজকে অনন্ত
সার্থক হবে ফাগুন, সার্থক বসন্ত।
বসন্ত মাস ভালোবাসায় ভরপুর
তুমি আর আমি ঘুরবো সারা দুপুর
বসন্তের ফুল গুজে দেবো তোমার খোপায়
ভালোবাসার এটাই তো সেরা সময়।
বাতাসে বহিছে প্রেম নয়নে লাগিলো নেশা, বসন্ত এসে গেছে মধুরও অমৃত বানী বেলা গেলো সহজেই, মরমে উঠিলো বাজি বসন্ত এসে গেছে।
ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত
শান বাধানো ফুটপাতে
পাথরে ডুবিয়ে এক কাঠখোট্টা গাছ
কচি কচি পাতায় পাজর ফাটিয়ে হাসছে।
ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।
আসমান জমিন মিশে গেছে বসন্তেরই পরশে
সবার হৃদয় ছুয়ে গেছে অকাল প্রেমের আবেশে
ভালোবাসার জোয়ার ওঠে বসন্তের কূলে,
সেই জোয়ারে যুব-যুবতীর প্রাণ ওঠে দুলে।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যেই মেলেছি আখি
সামনে যকে দেখেছে সেজন কি তুমি?
বাসন্তি রঙ শাড়ীতে আজ লাগছে অপরূপা
খোলা চুলে জবা ফুলে বেঁধেছো ঐ খোপা।
প্রথম ফাগুন দিনে
একগুচ্ছ গোলাপ দিলেম কিনে।
সেই সে গোলাপ
ফুটেছিল সাহারার প্রান্তরে
একটি একটি করে।
চেনা সুর অচেনা রঙ একেলা পথের মাঝে
হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে রই ফাল্গুন এসেছে
তাই তোমায় দিলাম ফাল্গুনের শুভেচ্ছা।
শুভ হোক ফাল্গুন।
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র-সঙ্গীতে যতো আছে,
হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে বনের কুসুমগুলি ঘিরে।
আকাশে মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা, দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে,
তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্তপথিক।
পহেলা ফাল্গুনের উক্তি
হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়? – সুফিয়া কামাল
কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি- দখিন দুয়ার গেছে খুলি? বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল? দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল? – সুফিয়া কামাল
এখনো দেখনি তুমি?” কহিলাম “কেন কবি আজ এমন উন্মনা তুমি? কোথা তব নব পুষ্পসাজ? – সুফিয়া কামাল
তরী তার এসেছে কি? বেজেছে কি আগমনী গান? ডেকেছে কি সে আমারে? -শুনি নাই,রাখিনি সন্ধান – সুফিয়া কামাল
কহিলাম “ওগো কবি, রচিয়া লহ না আজও গীতি, বসন্ত-বন্দনা তব কণ্ঠে শুনি-এ মোর মিনতি।” কহিল সে মৃদু মধুস্বরে- “নাই হ’ল, না হোক এবারে- আমার গাহিতে গান! বসন্তরে আনিতে ধরিয়া- রহেনি,সে ভুলেনি তো, এসেছে তো ফাল্গুন স্মরিয়া – সুফিয়া কামাল
কহিলাম “ওগো কবি, অভিমান করেছ কি তাই? যদিও এসেছে তবু তুমি তারে করিলে বৃথাই।” কহিল সে পরম হেলায়- “বৃথা কেন? ফাগুন বেলায় ফুল কি ফোটে নি শাখে? পুষ্পারতি লভে নি কি ঋতুর রাজন? মাধবী কুঁড়ির বুকে গন্ধ নাহি? করে নি সে অর্ঘ্য বিরচন? – সুফিয়া কামাল
হোক, তবু বসন্তের প্রতি কেন এই তব তীব্র বিমুখতা?” কহিলাম “উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন কবি দাও তুমি ব্যথা?” কহিল সে কাছে সরি আসি- “কুহেলী উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী- গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে রিক্ত হস্তে। তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোন মতে – সুফিয়া কামাল
হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামল-বরনী, যেন যৌবন-প্রবাহ ছুটিছে কালের শাসন টুটাতে; পুরানো বিরহ হানিছে, নবীন মিলন আনিছে, নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে। মধুর মলয়-সমীরে মধুর মিলন রটাতে। কুহক লেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে, লিখিছে প্রণয়-কাহিনী বিবিধ বরন-ছটাতে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তোমার অশোকে কিংশুকে, অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো – জহির রায়হান তোমার প্রজাপতির পাখা আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধ চোখের রঙিন স্বপন মাখা । তোমার চাঁদের আলোয় মিলায় আমার দুঃখ-সুখের সকল অবসান – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাকে পাবে না খুঁজে, কেঁদে কেটে মামুলি ফাল্গুনে – হেলাল হাফিজ বসন্ত এলো এলো এলোরে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহুরে মুহু মুহু কুহু কুহু তানে মাধবী নিকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে ভ্রমর গুঞ্জে গুঞ্জে গুনগুন গানে – কাজী নজরুল ইসলাম
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্রসঙ্গীতে যত আছে, হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে বনের কুসুমগুলি ঘিরে। আকাশে মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা, দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে, তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্ত পথিক – নির্মলেন্দু গুণ
একঝাক পাখি এসে ঐকতানে , গান গায় এক সাথে ভোর বিহনে, অচানক দুনিয়াটা আজব লাগে, আড়মোড়া দিয়ে সব গাছেরা জাগে, লাল নয় কালো নয় সবুজ পাতা, জেগে ওঠে একরাশ সবুজ পাতা – ফররুখ আহমেদ