বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ বিজয়ী নাম, ঠিকানা [বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩]
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত। নারী জাগরণের বেগম রোকেয়ার জন্মদিন এবং মৃত্যুতে উপলক্ষে প্রতিবছরই রকেয়া দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছরের নয় ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস পালন করা হয়। এই দিবসটি উপলক্ষে সমগ্র দেশব্যাপী নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এই দিনটি পালন করে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান।
বিবিসির জরিপ অনুযায়ী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীদের তালিকায় বেগম রোকেয়া সখ্যাত হোসেনের তালিকা ছিল ষষ্ঠ নম্বর। তিনি ১৯৩২ সালে ৯ ডিসেম্বর মারা যান। বেগম রোকিয়াকে সরল রাখার জন্য প্রতিবছরে ই ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে রকেয়া দিবস পালন করা হয়। এই দিনটিতে নারীর শিক্ষার অগ্রণী ভূমিকা এবং নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য যে সকল ব্যক্তিক কাজ করে তাদেরকে রকেয়া পদকে মর্যাদা দেওয়া হয়।
বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ উদযাপন, শুভেচ্ছা, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন
বেগম রোকে সওকাত হোসেন জন্মগ্রহণ করে ১৯৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রা বন্দর গ্রামে। বেগম রোকেয়া ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল তাই তিনি মুসলিম সমাজের মেয়ে হয়েও সকল বাধা-বিপতি পেরিয়ে লেখাপড়া শিখে নারী জাগরণে ভূমিকা রেখেছেন। সেই সময় মুসলিম সমাজের মেয়েদের লেখাপড়ার কোন প্রচলন ছিল না বলেই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ না করে বাড়িতে ভাইয়ের কাছে উর্দু বাংলা আরবি ও ফারসি ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন নিজে নিজেই।
তবে তার পড়াশুনা জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তার বড় ভাই এবং বোন। সেই সময়কার নারীদের জন্য তিনি প্রতিবাদ করেছেন তিনি নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য ভূমিকা রেখেছেন। নারীরা সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে পুরুষের পাশাপাশি শিক্ষা গ্রহণ করবে এই বিষয়ে তিনি অনেকগুলো বই ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। বেগম রোকেয়ার সাথে ভাগলপুরের সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের বিয়ে হওয়ার পর তিনি স্বামীর উৎসাহে লেখা পড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রাখার শকত হোসেনের লেখাপড়া জীবনে তার স্বামীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার স্বামী তাকে শিক্ষা লাভের পিছনে অনেক উৎসাহ যোগায় এবং তিনি তার সকল কাজে আগ্রহ দেখিয়ে বেগম রোকেয়াকে নানা ধরনের পরামর্শ দিতেন।
নারী শিক্ষার আদর্শ বেগম রোকেয়া নারীদের শিক্ষার অগ্রগতির জন্য রচনা করে গেছেন অবরোধবাসিনী প্রবন্ধ। এছাড়া তিনি উপন্যাস রচনা করে গেছেন সুলতানার স্বপ্ন এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ ও উপন্যাস। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের শিক্ষার জন্য তা না পরামর্শ এবং নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নানা ধরনের আন্দোলনে জড়িয়ে ছিলেন। আর তাই বেগম রোকে সখাত হোসেনের মত যে সকল নারী নারীর অধিকার নারী জাগরণের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখছে তাদেরকে প্রতিবছরই রকেয়া পদকে মর্যাদা দেওয়া হয়। এবছর ২০২৩ সালে রকেয়া পদুক পেতে চলেছে পাঁচ জন বিশিষ্ট নারী। রোকেয়া পদকে ভূষিত পাঁচজন নারীর মধ্যে প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম এডভোকেট, ফরিদা ইয়াসমিন, ডক্টর আফরোজা পারভীন, নাসিমা বেগম এবং রহিমা খাতুন। নারী শিক্ষা এবং নারীর জাগরণের ভূমিকা রাখায় এ সকল নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক।
বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩
প্রতিবছরই নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকে সফলত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর রকেয়া দিবস পালন করা হয়। এই দিবসটিতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের কার্যক্রম এবং অনুষ্ঠান এর মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করে। দিনটিতে প্রতিবছরেই নারী জাগরণের এবং নারী শিক্ষার জন্য যে সকল ব্যক্তি কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত করা হয়। তাই ২০২৩ সালে প্রতিবছরের ন্যায় বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হতে চলেছে পাঁচ জন বিশিষ্ট নারী। নারীর অর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতির মাধ্যমে নারীর জাগরণ, পল্লী উন্নয়ন এবং নারী শিক্ষার বিশেষ আবেদন রাখার জন্য এ সকল নারী পাচ্ছে বেগম রোকেয়া পদক।
২০২৩ সালে বেগম রোকিয়া পদকে ভূষিত পাঁচজন বিশিষ্ট নারী হল প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আবেদন রাখে চট্টগ্রাম জেলায়। সাতক্ষীরা জেলার ফরিদা ইয়াসমিন নারীর অর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ অবদান রাখে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারীদের জাগরণ এবং নারীদের উন্নয়ন করায় নড়াইলের জেলার ডক্টর আফরোজা পারভিন পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক এবং পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ আবেদন পাচ্ছে নাসিমা বেগম এছাড়া ভূষিত হচ্ছে রহিমা খাতুন নারী শিক্ষা অবদানের জন্য।