মেয়েদের কষ্টের স্টাটাস
মেয়েরা হলো সবথেকে বোকা প্রাণী ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের কষ্টটা অধিক। ছেলেরা যেমন তাদের দুঃখ, কষ্ট, আবেগ অন্য বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে মনটাকে হালকা করতে পারে, মেয়েরা সেটা পারে না বলেই ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশিই আবেগপ্রবণ হয়। পৃথিবীতে এমন কোন মেয়েকে পাওয়া যাবেনা, যার মধ্যে কষ্ট নেই। কষ্ট হলে মনকে হালকা করা জরুরি, আর হালকা করার মাধ্যম হচ্ছে প্রকাশ করা। আমাদের কষ্ট একটু হলেও কমে, যদি আমার তা আমাদের ভাষায় প্রকাশ করতে পারি। এই সুযোগ টা মেয়েরা খুব কম-ই পায়। কারণ মেয়েদের অনেক বাধা, এই বাধা অতিক্রম করা খুব কঠিন ব্যাপার।
মেয়েদের জীবন
মেয়েদের জীবন মানেই বাস্তবতার কাছে সবসময় অসহায়। কখনো তার সমাজের কাছে, কখনো পরিবারের কাছে, কখনো ইচ্ছার কাছে, কখনো স্বপ্নের কাছে, আবার কখনো তার ভালবাসার কাছে। মেয়েরা তো জন্ম-ই নেয় অন্যের জন্য, তাদের আবার জীবন। জন্মের পর বাঁচে, বাবা মায়ের জন্য। বিয়ের পর থেকে মেয়েদের শুরু হয় আরেকটা নতুন জীবন। এই জীবনে যে মেয়ে সুখী হতে পারবে আলহামদুলিল্লাহ। আর যে অসুখী তার জীবন নরকের মতোই খারাপ। শত খারাপ থাকার পর-ও তখনও মেয়েরা বাঁচে স্বামীর জন্য, সংসারের জন্য। তারপর বাঁচে তার সন্তানের জন্য। মেয়েদের জীবনেও চাওয়া, পাওয়া থাকে তা পুরন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুব কম। শুধু মাত্র একটা মেয়েই জানে; এই সমাজে চলতে হলে তাকে কত বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করতে হয়। মেয়েদের জীবন মানেই কিছু করার আগে হাজার বার ভাবা।
মেয়েদের কষ্টের কিছু কথা
মেয়েরা পারেনা তাদের ইচ্ছা মতো চলতে, পারেনা কাউকে ভালোবেসেও সুখে থাকতে। পারেনা তাদের ছোট ছোট স্বপগুলো পূরন করতে। তাদের স্বপ্ন গুলো অপূর্ণ-ই থেকে যায়। মেয়ে নামক শব্দটি একের জনের কাছে একেক রকম। কারো কাছে প্রতারক, কার কাছে স্বার্থপর। কারো কাছে বেইমান, কারো কাছে আবার বিশ্বাস ঘাতক। আসলে মেয়েরা প্রতারক, স্বার্থপর, বেইমান, বিশ্বাস ঘাতক এসব কিছুই না। মেয়েরা যদি এরকম-ই হতো তাহলে কোন সন্তানই পৃথিবীর মুখ দেখত না। মেয়েরা যদি বাবা মায়ের কথা শুনে চলে তাহলে সে খুব ভালো মেয়ে। আর বাবা মায়ের অবাধ্য হয়ে চললে সেই মেয়েই খুব খারাপ। ভালবাসার মানুষটি হাজারো খারাপ হলেও তার সাথে পালিয়ে গেলে প্রিয় মানুষটির কাছে খুব প্রিয় হওয়া যায়। অথচ তাকে ছেড়ে অন্য কাওকে বিয়ে করলে তার কাছে বিশ্বাস ঘাতক, স্বার্থপর, বেইমান হতে হয়।
মেয়েদের অবহেলার জীবন
সমাজে মেয়েদেরকে সবাই অবহেলার চোখে দেখে জন্মের পর থেকে শুরু করে সংসার জীবন পর্যন্ত মেয়েদের অনেক অবহেলা সহ্য করতে হয় একটি সন্তান যখন তার মায়ের গর্ভে আসে তখন থেকে পরিবারের লোকজন চায় তার যেন ছেলে সন্তান হোক। সমাজে মেয়েদেরকে লোকে তুচ্ছ চোখে দেখেন। সমাজে মেয়েদের অনেক বাধা, পড়াশোনা থেকে শুরু করে সংসার জীবন পর্যন্ত তাদের অনেক বাধা অতিক্রম করে চলতে হয়। মেয়েরা এমন একটা প্রাণী যাদের সব কিছুতেই দোষ। অনেক জোরে কথা বললে মেয়ে ভালো না। আস্তে কথা বললে, কেমন মেয়ে জোরে কথা বলতে পারেনা। মানুষের সাথে মিশলে বলা হয় ফালতু, আর না মিশলে বলে মেয়ের ইগো বেশি, মানুষের সাথে মিশতে জানেনা।
বেশি কথা বললে বাচাল, আবার কম কথা বললেও সমস্যা বলে মেয়ে ভালো না অহংকার বেশি। একটা ছেলে যখন রাত ১২ টায় বাসায় আসে, তখন ওটা কোন বিষয় না। আর একটা মেয়ে যদি রাত ৮ টায় বাসায় আসে তখন তাকে চরিত্রহীন, নষ্টা বলা হয়। মেয়েরা চাইলেই সব কিছু করতে পারেনা, মেয়েদের জীবন শুধুমাত্র নামেই তার জীবন হয়, জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্যের ইশারায় চলতে হয়। বিয়ের পর তো আরেকটা জীবন শুধু মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেয়ার পালা। চোখের সামনে অন্যায় দেখেও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। প্রতিবাদ করবা তো শুনতে হবে বাপের বাড়ি চলে যাও। আসলে মেয়েদের নিজের বাড়ি বলতে কিছু নাই। বিয়ের আগে বাবার বাড়ি, বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি, আর বৃদ্ধ বয়সে ছেলের বাড়ি।