১৬ ডিসেম্বর নিয়ে কিছু কথা, বিজয় দিবস নিয়ে কিছু কথা ২০২৪
১৬ ডিসেম্বর নিয়ে কিছু কথা, বিজয় দিবস নিয়ে কিছু কথা ২০২৪। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন আরেকটি নিবন্ধ শুরু করছি। আশা করি সকলে ভালো আছেন। দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশের ৫২ তম বিজয় দিবস। অর্ধশতাধিক বয়স পেরিয়ে বাংলাদেশের উন্নতি কতটুকু সাধিত হলো তা আমাদের লক্ষণীয় বিষয়। পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ কতটুকু জাগ্রত হল তা আমাদের দেখার বিষয়।
যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লাখো ভাইয়েরা তাদের কচি প্রাণ বিলিয়ে দিতে এতোটুকু কার্পণ্য করেনি সেই চেতনা কতটুকু লালন করতে পারলাম তা দেখার বিষয়। ১৬ই ডিসেম্বর আসলেই দেশ প্রেম যেন উথলে পড়ে আর ডিসেম্বর পেরোলেই আমরা ভুলে যাই মুক্তিযুদ্ধের কথা। লেগে পড়ি অনৈতিক কাজে। আজকে থাকছে ১৬ ডিসেম্বর নিয়ে কিছু কথা। আশা করি নিবন্ধটি সম্পূর্ণ পাঠ করলে বিজয়ের চেতনায় উন্মুক্ত হয়ে বাংলাদেশের মাটিকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রয়াস জাগ্রত হবে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক ১৬ই ডিসেম্বর নিয়ে কিছু কথা।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর
সময়টা ১৯৭১ কিংবা তারও পূর্বে। খেটে খাওয়া বাঙালিরা সারাদিন মাঠে-ঘাটে দিনমজুরের মত খেটে উৎপাদন করত শস্য আর তা ভোগদখল করত পশ্চিম পাকিস্তানিরা। পদে পদে পূর্ব পাকিস্তানের হতে থাকলো নিপীড়িত, নির্যাতিত। যেন সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করতে হবে, বুঝেও না বোঝার ভান করতে হবে। এক পর্যায়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের অত্যাচারের সীমা যখন মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেল তখন বাঙ্গালীদের পক্ষে আঙ্গুল তুললেন একজন। ডাক দিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের। পূর্ব পাকিস্তানিদের নেতৃত্বদানকারী সেই মহান ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে নিরীহ বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ল মহান মুক্তিযুদ্ধে। ছিনিয়ে আনলো বাংলার অমূল্য বিজয়। বিজয়গাথা রচিত হলো ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিনের প্রথম ভাগে। নিরীহ বাঙালি পেল নিজেদের অধিকার আদায়ের স্বাধীনতা।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ২০২৪
১৯৭১ থেকে ২০২৪। পেরিয়ে গেছে ৫১টি বছর। আসছে 16 ডিসেম্বর প্রিয় মাতৃভূমি পা রাখবে ৫২ তম বছরে। আগামী শুক্রবার বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া অমূল্য স্বাধীনতা স্মরণ করে রাখতে পালিত হবে বিজয় দিবস। গৃহীত হবে নানান কর্মসূচি। বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে বাঁচবে বিজয়ের বীণ। আপামর জনসাধারণ মেতে উঠবে বিজয়ের উল্লাসে। স্বাধীন বাংলাদেশের অধিবাসীগণ স্মরণ করবে তাদের মহান সেইসব বীর শহীদদের। আজকের নিবন্ধে আলোচনা করব ১৬ই ডিসেম্বর নিয়ে কিছু কথা যা আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে একান্ত প্রয়োজন।
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য
ডিসেম্বর আসলেই বাঙ্গালীদের মনে দাগ কেটে যায় একাত্তরের সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা। স্মরণ করিয়ে দেয় মহান শহীদদের আত্মত্যাগের স্মৃতি। যেভাবে নিজের জীবন বাজি রেখে তারা ঝাপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসিকতা বন্দনা খাতায়-কলমে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তবুও তাদের মহান কীর্তির প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শনপূর্বক পালিত হয় বিজয় দিবস। বিজয় দিবসের বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানে গণ্য মান্য অনেক ব্যক্তিবর্গ আমন্ত্রিত হয়ে থাকেন। তাদেরকে বিজয় দিবসের শিক্ষামূলক কিছু বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ করে দেয়া হয়। সামনে উপবিষ্ট দর্শক শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য যে ধরনের বক্তব্য প্রয়োজন তা অনেকেই জানেনা। আজকে তাই আপনাদের জন্য বিজয় দিবসের কিছু নমুনা বক্তব্য এবং ধরন তুলে ধরা হলো।
১৬ ডিসেম্বর নিয়ে কিছু কথা
যে মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। প্রদর্শন করি সর্বোচ্চ সম্মান। যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রাণপণ যুদ্ধে সেই চেতনা আমরা কতটুকু লালন করতে পেরেছি আর কতটুকু তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এ নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে দৃঢ় প্রত্যয়ে সংঘটিত হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ তা কতটুকু সাফল্যমন্ডিত করা সম্ভব হয়েছে এ নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে অমানবিক নীতিহীনতার ছায়া তা বর্তমান প্রজন্মের সঠিক মানসিক বিকাশে হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপুল বাধা। বিজয় দিবসে যেরকম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে একই কাতারে দাঁড়িয়ে পড়ি আমরা ঠিক একই ভাবে বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে দাঁড়াতে পারি না কেন এ নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এসব ভাবার সময় এসেছে। এখনই ভাবতে হবে। জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে আমাদের।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত হওয়া স্বাধীনতা বাঙালির জীবনে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সাক্ষী। ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জীবনের এক অন্যতম অধ্যায়। বিজয় দিবসে জাতীয় জীবনে আমরা কতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তা নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি নিবন্ধটি সম্পূর্ণ পাঠ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকে উপস্থাপিত কথাগুলো অন্তরে দাগ কেটে যাবে সকলের। সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।