দিবস

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ কবে, কেন, কিভাবে পালন করা হয়

নারী শক্তি হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম এক শক্তি। যে শক্তি ছাড়া পৃথিবী অচল এক বছরে ৩৬৫ দিন আর তার মধ্যে একটি মাত্র দিন হচ্ছে না এই নারী দিবস।। আমরা সকলেই জানি ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে গোটা বিশ্বে পালন করা হয়। তাই প্রতিবছর মার্চ মাস এলেই বিশ্বজুড়ে নারী দিবসকে ঘিরে অনেক আয়োজন করা হয়। কিন্তু আমরা কি জানি আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে এবং কেন পালন করা হয়ে থাকে। আপনারা যদি এ সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনারা আমাদের এই পেজটি ফলো করতে পারেন। এখানে আমরা আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪

আমরা সকলেই আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কে কমবেশি জানি। কিন্তু আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কে আরো অনেক বিষয় আমাদের অজানা। আর তাই আমরা আপনাদের জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পূর্ব নাম ছিল আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস। আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় প্রত্যেক মার্চ মাসের ৮ তারিখে। এ দিবসটি পালন করার পিছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের কঠোর সংগ্রাম।

তখনকার সময়ে নারীদের কে দিয়ে অনেক রকমের কাজ করে নেওয়া হতো কিন্তু তাদের প্রয়োজনীয় পারিশ্রমিক দেওয়া হতো না। তাদের অধিকার আদায়ের সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এই নারী দিবস পালিত হয়ে থাকে। আর ঠিক তখনই তারা একসাথে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নেমে যায় এবং এক পর্যায়ে তিনটি কি নারী দিবস হিসেবে পালিত করা হয় এবং ঘোষণা দেওয়া হয়ে থাকে। তৎকালীন সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসতেছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে?

আমরা যারা এখনো আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে জানিনা তাদের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে পালন করা হয় তার আলোচনা নিয়ে আসলাম। নারীর অধিকার আদায় কে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ মার্চ। সে সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৮ই মার্চ নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসতেছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস

আন্তর্জাতিক নারী দিবস শুরু হওয়ার অনেক ইতিহাস রয়েছে।। কাল ক্রমে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবাদের ফলে আজকের এই নারী দিবস পালিত হয়ে আসতেছে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে নারীদের প্রতি অমানবিক পরিশ্রম ও অমানধ্বীক পরিবেশে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিল বস্ত্র বিতান কারখানায় নারী শ্রমিকেরা। এরপর সর্বপ্রথম ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সমাবেশ জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন করা হয়। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯১০ খ্রিস্টাব্দের ডেনমার্কের কপেন হেগেনে। এই সময়ে ১৭ টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন এই নারী দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে।

তখন সেই প্রস্তাবে 1911 খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের অধিকার হয়ে আসে বলে গণ্য করা হয়। সিদ্ধান্তগ্রহণের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা এ দেশটি পালন করতে এগিয়ে আসেন। এরপর ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশের ৮ই মার্চ নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসতেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পূর্ব থেকে এই দিবসটি পালন করা হতো। সেই সময়ে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশে এ দিবস টি পালন করেছিল। সুতরাং পর্যায়ক্রমে নারীদের অধিকার ও নারীদের সমাজে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য দফায় দফায় আন্তর্জাতিক এই নারী দিবস পালন করা হয়ে আসতেছে বিশ্বে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস কেন পালন করা হয়?

সমাজের সকল স্তরের নারীদের সাফল্য এবং নারীদের পরিশ্রমের জয়গান গাওয়া হচ্ছে নারী দিবস।। একসময় ছিল নারীদের দিয়ে অভিরাম কাজ করে নেওয়া হতো কিন্তু তাদের প্রয়োজনীয় পারিশ্রমিক দেওয়া হতো না। কিন্তু বর্তমানে এখন তা আর নেই। বর্তমানে নারীরা তাদের প্রয়োজন পারিশ্রমিক এবং সমাজে নানান কাজের পাশাপাশি তাদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন কাজের জন্য তাদেরকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করার মূল কারণ হচ্ছে নারীর অধিকার রক্ষা করা এবং নারীদের সম্পর্কে সমাজের সচেতন করে তোলা। প্রথম ১৯০৯ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়েছে। কিন্তু একই বছর ২৮ ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকায় নারী দিবস উদযাপন করা হয়। নারীদের এই দাবি একসময় বিশ্বব্যাপী নারীদের দাবি আদায়ের প্রতিবাদ জানানো হয়। আর তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রদের নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তিরক্ষার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের নারী দিবস ৮ই মার্চ ঘোষণা করা হয়।

Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button