প্রেম ভাঙার কবিতা | হৃদয় ভাঙার কবিতা
প্রেম ভাঙার কবিতা ও হৃদয় ভাঙ্গার কবিতা আজকের এই নিবন্ধে আলোচনা করব। সম্মানিত পাঠক আপনি যদি অনলাইনে প্রেম ভাঙার কবিতা ও হৃদয় ভাঙ্গা কবিতা অনুসন্ধান করেন তাহলে এই বিপদে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ অনলাইনে প্রেম ভাঙার কবিতা এবং হৃদয় ভাঙ্গা কবিতা অনুসন্ধান করে থাকেন। প্রিয়তমার সাথে কোন প্রকার ঝগড়াঝাঁটি কিংবা ব্রেকআপের পর্যায়ে চলে গেলে মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য অনেকেই অনলাইনে প্রেম ভাঙার কবিতা অনুসন্ধান করেন। তাই আমরা আজকের এই নিবন্ধে প্রেম ভাঙার কবিতা সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
এই বর্ষায়
মোঃ সুজন আলী
এবারের বর্ষায় বর্ষণ হবে
বিলে ফোটবে পদ্ম ফুল
আমি দুটো নীল পদ্ম দিয়ে
বেঁধে দেব তোমার চুল
নানান রঙের নকশী ফুলে
সাজবে নদী কূল
তাহার থেকে দুটো নিয়ে
পরিয়ে দেব দুল
আমি তোর উঠানে আসব
সকাল কিংবা দুপুর
পা দুখানি এগিয়ে দিও
পরিয়ে দেব নূপুর
রক্ত রাঙা মেহেদি দিয়ে
লেপে দেব ঠোঁট
অভিমান তুমি করো না যেন
পাও যদি কোন চোট
প্রেম ভাঙার কবিতা
“ভাঙা হৃদয়”
“”””””””””””
আজ কোনো নালিশ নেই
নেই আর কোনো অভিযোগ,
ভালোবাসা মানেই হলো
এক বিরাট বড়ো দুর্যোগ।
কিসের এত ঔদ্ধত্য তোমার,
কিসের এত দর্প,,
বুঝলে না গো বুঝলে না
ভালোবাসার মর্ম!!
দৌরাত্যের এই দুনিয়ায় সত্য প্রেম আজ
বড়ই ফিকে,
ঔচিত্যের এই লড়াইয়ে আমি
থাকলাম না আর টিকে…
সোহাগের মায়া এখনই দেবো বিসর্জন
ভাঙা হৃদয়ও আজ থেকে হবে মনোরম।।
প্রতিটি ব্যর্থ প্রেমই আমাকে নতুন অহঙ্কার দেয়
আমি মানুষ হিসেবে একটু লম্বা হয়ে উঠি
দুঃখ আমার মাথার চুল থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত
ছড়িয়ে যায়
আমি সমস্ত মানুষের থেকে আলাদা হয়ে এক
অচেনা রাস্তা দিয়ে ধীরে পায়ে
হেঁটে যাই
সার্থক মানুষদের আরো-চাই মুখ আমার সহ্য হয় না
আমি পথের কুকুরকে বিস্কুট কিনে দিই
রিক্সাওয়ালাকে দিই সিগারেট
অন্ধ মানুষের শাদা লাঠি আমার পায়ের কাছে
খসে পড়ে
আমার দু‘হাত ভর্তি অঢেল দয়া, আমাকে কেউ
ফিরিয়ে দিয়েছে বলে গোটা দুনিয়াটাকে
মনে হয় খুব আপন
আমি বাড়ি থেকে বেরুই নতুন কাচা
প্যান্ট শার্ট পরে
আমার সদ্য দাড়ি কামানো নরম মুখখানিকে
আমি নিজেই আদর করি
খুব গোপনে
আমি একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ
আমার সর্বাঙ্গে কোথাও
একটুও ময়লা নেই
অহঙ্কারের প্রতিভা জ্যোতির্বলয় হয়ে থাকে আমার
মাথার পেছনে
আর কেউ দেখুক বা না দেখুক
আমি ঠিক টের পাই
অভিমান আমার ওষ্ঠে এনে দেয় স্মিত হাস্য
আমি এমনভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও
আঘাত না লাগে
আমার তো কারুকে দুঃখ দেবার কথা নয়।
আমি যখন হৃদয় ভাঙা বিহঙ্গ
– বেঞ্জিন বেঞ্জয়েট
হৃদয়ভাঙা বিহঙ্গ আমি … চলেছি একিলা ভেসে ,
মনের ময়ূরী জানে না তো সে যাচ্ছে কোন দেশে ।
আপন অধিকার নেই বলে কিছু , নেই কোন দাবী ,
শকুন আসি দখল করিছে ঘর দুয়ার মোর সবই ।
অন্নে শুধু জীবন চলিলে বন্য হয়েই থাকা যে বেশ ,
জীবনের মানে খুঁজতে এতো হতে হতোনা ক্লান্ত শেষ ।
জীবনের মানে অনেক বড় অনেক কিছুই যে থাকে ,
আমসত্ত্ব ভুজিলেও মনেতে চাহিদা আরও কিছু রাখে ।
বস্ত্র পরিধানে লজ্জা যায়না , লজ্জা যেতে লাগে বোধ ,
বোধের তাড়নে মন থেকে পালায় কলুষ বিদ্বেষ ক্রোধ ।
পূজ্যোরি মন পূজাতে সাধে , শকুন সাধে শ্মশানে ,
প্রভুর পরম বান্দা যারা থাকে সদাই প্রভুত্বের সন্ধানে ।
গোঁড়া যারা , নাস্তিক যারা , দেবত্ব রাখেনা মনে ,
দখল ভোজন পঙ্কিলতা ছড়ায় সব খানে সবার সনে ।
শক্তিধনে পরাজিত যারা ক্রন্দিত মন সাথী করে শেষে ,
দিশেহারা মুক্ত বিহঙ্গ সেজে ভেসে বেড়ায় নিরুদ্দেশে ।
খুঁজে পায়না ঠিকানা আপন , খুঁজে পায়না ঘর-দুয়ার ,
বিলীন হয়ে যায় এমনিতেই সব স্বপ্ন সাধনা বধুয়ার ।
আঁখিজল মুছে সাক্ষী রাখে অদৃষ্ট ওই বিধাতার নামে ,
ভেসে দেয় সব ত্যাগের মহিমায় শূন্যে ক্লিষ্টের খামে ।
আমি তারই একজন … ,
আপন পাওয়া অধিকার দাবী আপনাতেই দিয়েছি বিসর্জন ।
মাথা তোমার নত কেন, চোখে তোমার লজ্জা কিসের
তোমার কোনো দোষ ছিলো না
আমার পানে তাকিয়ে দেখো আমি আজও দাঁড়িয়ে আছি
সেই যেখানে হাত ছেড়েছ
সকাল বিকেল টিউশনি যাই পাথর চাপা রাত্রি নামে
চাকরি আমার হয়নি আজও
ভেবেছিলাম আমায় ছাড়া ভাবতে তুমি পারবে না আর
তুমি কিন্তু ঠিক পেরছ।
স্বপ্ন দেখতে দোষ কি বলো ঘর বেঁধেছি তোমার মতো
হঠাৎ কেমন আমার বুকের কঠিন অসুখ সেরে গেছে
আমার ঘরে চাঁদ নেমেছে মধ্যরাতে
ঠিক তখনই বাইরে দেখি দাঁড়িয়ে আছো অন্ধকারে
নত মুখে কি চাও তুমি?
একদিন তো সব ছেড়ে ওই হাত রেখেছো অন্য হাতে।
জেগে উঠে পাগলপারা তোমায় খুঁজি এদিক ওদিক
তুমি তখন হারিয়ে গেছ ভুল ঠিকানায় সুখের খোঁজে
এই বুঝি বেশ ভালো হলো একলা জীবন বেহিসেবি
ইচ্ছে হলে ঘরে ফিরি নইলে আকাশ মাথার উপর জোৎস্নারাতে তারা গুনি
বুকের ভিতর বৃষ্টি নামে তুমি জানি পাওনি খবর
আজ দাঁড়ালে সামনে যখন সব অভিমান উধাও কেমন
নতুন করে আবার হঠাৎ হাত বাড়াতে ইচ্ছে করে
গল্প আবার লিখবো বলে ঝাঁপ দেবো যেই ঠিক তখনই
ভাগ্য দোষে সেই সেদিনের হৃদয় ভাঙার শব্দ শুনি।