টিপস

মধুর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, সকলকে শুভেচ্ছা। আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম মধুর উপকারিতা সংবলিত বিশেষ একটি অনুচ্ছেদ। আপনারা অনেকেই মধুর উপকারিতা, গুনাগুন, অপকারিতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়ে অনলাইনে সার্চ করে থাকেন। আমার আজকের অনুচ্ছেদ থেকে আপনারা মধুর বিস্তারিত গুনাগুন জানতে পারবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
পুরাতন মধুর উপকারিতা

মধু হল সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এক মহামূল্যবান নিয়ামত। মধুকে জটিল ও কঠিন বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। মধুতে মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রকম উপাদান বিদ্যমান। পুরাতন মধু শরীরের বিভিন্ন রোগ বালাই নিরাময় প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মধু হাঁচি, সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পেটের পীড়ায় পুরাতন মধু বেশ ভালো উপকার করে। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে মধু ব্যবহৃত হয়। গলার খুসখুসে ভাব কমাতে মধুর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রসাবনালীর সমস্যা দেখা দিলে ১০ থেকে ১৫ দিন পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। পুরাতন মধু ত্বকের ক্ষত পুষিয়ে নিতে সাহায্য করে।

মধুর উপকারিতা ও ব্যবহার

অন্যতম একটি পরিপূরক খাদ্য হিসেবে মধুর যেমন পরিচিতি রয়েছে, তেমনি রয়েছে মধুর বিভিন্ন রোগ বালাই প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খেলে বিভিন্ন রকম রোগ বালাই বিশেষ করে- হৃদরোগ, রক্তশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হাঁপানি, ওজন বৃদ্ধি, বদহজম, রক্তের দূষণ, যৌন দুর্বলতা ইত্যাদি রোগে প্রতিষেধক হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য নিয়মিত এক চামচ করে মধু সকালবেলা কুসুম গরম পানির সাথে খালি পেটে খেতে হবে। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে খাঁটি মধু ব্যতীত এ সকল সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব না। তোদের ওখানে এজন্য খাওয়ার আগে অবশ্যই খাঁটি মধু দেখে নিতে হবে।

মেয়েদের মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধু একটি প্রাকৃতিক খাদ্য যা মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস হতে সংগ্রহ করে। খাঁটি মধু মেয়েদের যৌন সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তবে ভেজাল মধু উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। এজন্য মধু সেবন করার পূর্বে নিশ্চিত হয়ে নেয়া উচিত যে মধু খাঁটি নাকি ভেজাল। মধুতে উপস্থিত প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান মেয়েদের শরীরে যৌন হরমোন বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট নিয়মে মধু সেবন করলে যৌন সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যেতে পারে।

মধু খাওয়ার নিয়ম

মধু একটি আদর্শ খাদ্য। এতে রয়েছে মানব শরীরের জন্য উপকারী প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান। মধু খাওয়ার কেমন বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। তবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে মধু সেবন করলে বেশ উপকার পাওয়া সম্ভব। তন্মধ্যে কিছু নিয়ম নিচে প্রদত্ত হলো- এর মধ্যে যদি প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুই চা চামচ মধু সরাসরি খাবার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। কাঁচা ছোলা ভিজে রেখে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শারীরিক দুর্বলতা ও অবসন্নতা দূর করা সম্ভব। প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানির সাথে এক থেকে দুই চা চামচ চ মধুর সঙ্গে হালকা লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে সেবন করলে শরীরের মেদ কমতে সাহায্য করে। দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। অল্প পরিমাণ কালোজিরার সাথে এক চা চামচ মধু নিয়মিত পান করলে জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সর্দি জ্বর নিরাময়ের জন্য তুলসী পাতা বা বাসক পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকারিতা পাওয়া যায়।

পরিশেষ: প্রতিদিন নির্দিষ্ট নিয়মে পরিমিত পরিমাণে মধু সেবন করলে বিভিন্ন রকম জটিল ও কঠিন রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব। সঠিক নিয়মে নিয়মিত মধু পান করুন, সুস্থ থাকুন। লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Md Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button