শুভ নববর্ষ ১৪৩১ [পহেলা বৈশাখ ২০২৪] ফেসবুক স্টাটাস, এসএমএস, শুভেচ্ছা, পিকচার, উক্তি
শুভ নববর্ষ ১৪৩১ সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের এই নিবন্ধ শুরু করছে। আজকের নিবন্ধে আমরা নববর্ষ ১৪৩১ এর ফেসবুকে স্ট্যাটাস এসএমএস পিকচার, নববর্ষের শুভেচ্ছা আলোচনা করব। আপনি যদি নববর্ষের ফেসবুকে স্ট্যাটাস, শুভেচ্ছা, নববর্ষের শুভেচ্ছা পিকচার, নববর্ষের শুভেচ্ছা উক্তি এবং বাণী অনলাইন অনুসন্ধান করেন তাহলে এই নিবন্ধ হতে আপনি সমস্ত উপকরণ সংগ্রহ করতে পারবেন।
বাংলা নববর্ষ, বাংলা সালে প্রথম দিন টিকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয় তাকে। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি আলাদা আলাদা বাণী প্রদান করে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ গ্রামগঞ্জ গুলোতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয় থাকে। দিনটি বিশেষ ভাবে উদযাপনের জন্য এদিন সবাই বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা, নববর্ষের স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে পারবেন।
শুভ নববর্ষ ১৪৩১
বাংলা নববর্ষ বাংলা বছরের প্রথম দিনটি অর্থাৎ বাংলা বৈশাখ মাসের প্রথমদিকে নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। নববর্ষ প্রথম চালু করেছিল মোগল সম্রাট আকবর। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয় নিশ্চিত করতে নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছিল। নববর্ষ চালু করার আরেক প্রধান উদ্দেশ্য হলো ফসলি সাল। সম্রাট আকবরের শাসন আমলে এ দেশের কৃষকদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের জন্য ফসলি সাল চালু করা হয়। ফসলি সাল পরবর্তীতে বাংলা সাল নামে পরিচিতি লাভ করে। তখন থেকেই মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নববর্ষের প্রচলন শুরু হয়।
শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা
আপনি কি নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা অনলাইন অনুসন্ধান করছেন? আমাদের এই নিবন্ধ হতে আপনি নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদের জন্য নববর্ষ ১৪৩১ শুভেচ্ছা বার্তা গুলো সংগ্রহ করে দিয়েছি। আমাদের এই ওয়েবসাইট হতে নববর্ষের শুভেচ্ছা পত্র সংগ্রহ করে আপনি আপনার প্রয়োজন বন্ধু-বান্ধব এবং ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে পারবেন।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক
এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শুভ নববর্ষ
আজকে এই শুভ দিনে
কত খুশি কত সাজ।
আজকে এই শুভ দিনে
ভুলে যাও সব কাজ।
শুভ নববর্ষ
শত শত ফুল ফুটে আছে বনে বনে,
আমি একাকী বসে ভাবছি শুধু মনে মনে,
আর ফিসফিস করে বলছি তোমার কানে কানে,
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
শুধু প্রথম দিন নয়,
বছরের প্রতিটি দিন যেন
তোমার সুখে কাটে..
নতুন বছরের শুভেচ্ছা
“নতুন বছরের নতুন দিনে
আপনাদের জানাই সুস্বাগতম
শুভ নববর্ষ”
“মিস্টি হাসি, দুষ্টু চোখ।
সবার সপ্ন সত্যি হোক।
জানাই সবাই কে আরেক বার
শুভ নববর্ষ।”
শুভ নববর্ষের ফেসবুক স্ট্যাটাস
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপনের জন্য আপনারা আমাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস শেয়ার করতে পছন্দ করি। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে একে অন্যকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আজকের এই নিবন্ধে আমরা বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরেছি।
এসেছে নতুন দিন , তাই নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়ে নতুনকে সেখানে দাঁড় করিয়ে দিন। কেননা আজকের তরুণ রা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শুভ নববর্ষ ২০২৩।
নববর্ষ সর্বদাই ছোটদের কাছে আনন্দের এক নাম। এই দিনে ছোটরা নতুন নতুন পোশাক পরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকে। আর সেই সকল কচি কাচাদের জন্য জানাই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা।
নববর্ষ মানেই পান্তা ইলিশের সাথে থাকা। নববর্ষ মানে নতুন একদিনে পায রাখা। তোমাদের সকলের জন্য রইল পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা।
নিশি যখন ভোর হবে। সুখ তারা নিভে যাবে। আসবে একটা নতুন দিন। দুঃখ হতাশা যাও ভুলে। হাসি আনন্দ নিও তুলে। বছরটা হোক অমলিন। বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
রাতের শেষে মিষ্টি হেসে তাকাও চোখ খুলে। নতুন আলোয় নতুন ভোরে দুঃখ যাবে ভুলে। ঝিলমিলিয়ে হাসবে আবার, আঁধার হবে শেষ! এসে গেছে নতুন বছরের নতুন এসএমএস। শুভ নববর্ষ ২০২৩ ।
শুভ নববর্ষের এসএমএস
এসএমএসের মাধ্যমে খুব সহজেই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো যায়। তাই আজকের এই নিবন্ধে আমরা বাংলা নববর্ষের কিছু শুভেচ্ছা জানানোর এসএমএস আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট হতে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা এসএমএস গুলো সংগ্রহ করে আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে শেয়ার করতে পারবেন।
সব খারাপ স্মৃতিকে
পুরনো দুঃখ হিসেবে ভুলে যাও,
নতুন বছর শুরু করো
নতুন আশা আর প্রতিজ্ঞা দিয়ে,
?শুভ নববর্ষ?
এই নতুন বছর তোমার জীবনে
নিয়ে আসুক অনেক অনেক
নতুন সারপ্রাইজ,
যাতে তোমার জীবন ভরে
উঠুক সুখে ও আনন্দে…
?শুভ নববর্ষ?
আমি তোমার বাড়িতে আসছি
তোমায় সবরকম খুশী দিতে,
আমায় স্বাগত জানিও…
আমি তোমাদের সবার প্রিয় ১৪৩১
তুন বছরের নতুন দিনে আনন্দে ভরে উঠুক তোমার সারাটি জীবন। দোয়া করি আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে এবংতোমায় জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
বিদায় নিল আজ পুরনো বছরের সূর্য। আসবে নতুন সকাল, নতুন দিন, নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা। আর নতুন হোক আজকের ভালবাসা। শুভ নববর্ষ ১৪৩১।
ফুল ফুটেছে বনে বনে। ভাবছি তোমায় মনে মনে। বলছি তোমার কানে কানে… শুভ নববর্ষ ২০২৩ ।
পুরোনো যত হতাশা, দুঃখ, অবসাদ, নতুন বছরে সেগুলোকে করুক ধূলিসাৎ। সুখ, আনন্দে মুছে যাক সকল যাতনা। শুভ নববর্ষ।
শুভ নববর্ষের পিকচার
বাংলা নববর্ষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো নববর্ষের পিকচার। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এর জন্য আমরা কিছু পিকচার এই নিয়ে নিবন্ধের সংযুক্ত করেছি।
শুভ নববর্ষের উক্তি
নববর্ষ সব সময় সকল জ্ঞানী গুণী মানুষদের কাছে নতুনবার্তা নিয়ে আসতো। আজকের এই নিবন্ধে আমরা জ্ঞানীগুণী মনীষীদের বিখ্যাত কিছু নববর্ষের উক্তি তুলে ধরব।
রুদ্রতপের সিদ্ধি এ কি ওই-যে তোমার বক্ষে দেখি, ওরই লাগি আসন পাতো হোমহুতাশন জ্বেলে॥ নিঠুর, তুমি তাকিয়েছিলে মৃত্যুক্ষুধার মতো তোমার রক্তনয়ন মেলে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভীষণ, তোমার প্রলয়সাধন প্রাণের বাঁধন যত যেন হানবে অবহেলে। হঠাৎ তোমার কণ্ঠে এ যে আশার ভাষা উঠল বেজে, দিলে তরুণ শ্যামল রূপে করুণ সুধা ঢেলে॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে বাধাবন্ধহারা গ্রামান্তরে বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া হানি দীর্ঘধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান– গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধূসরপাংশুল মাঠ, ধেনুগণ যায় ঊর্ধ্বমুখে, ছুটে চলে চাষি। ত্বরিতে নামায় পাল নদীপথে ত্রস্ত তরী যত তীরপ্রান্তে আসি। পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন মেঘে সায়াহ্নের পিঙ্গল আভাস রাঙাইছে আঁখি– বিদ্যুৎ-বিদীর্ণ শূন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায় উৎকণ্ঠিত পাখি।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বীণাতন্ত্রে হানো হানো খরতর ঝংকারঝঞ্ঝনা, তোলো উচ্চসুর। হৃদয় নির্দয়ঘাতে ঝর্ঝরিয়া ঝরিয়া পড়ুক প্রবল প্রচুর। ধাও গান, প্রাণভরা ঝড়ের মতন ঊর্ধ্ববেগে অনন্ত আকাশে। উড়ে যাক, দূরে যাক বিবর্ণ বিশীর্ণ জীর্ণ পাতা বিপুল নিশ্বাসে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আনন্দে আতঙ্ক মিশি, ক্রন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহারবে ঝঞ্ঝার মঞ্জীর বাঁধি উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে। ছন্দে ছন্দে পদে পদে অঞ্চলের আবর্ত-আঘাতে উড়ে হোক ক্ষয় ধূলিসম তৃণসম পুরাতন বৎসরের যত নিষ্ফল সঞ্চয়।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পৌষের কুয়া বৈশাখের ফল। য’দ্দিন কুয়া ত’দ্দিন জল। শনিতে সাত মঙ্গলে/(বুধ) তিন। আর সব দিন দিন
– ক্ষণা
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতী ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে ললনারা হেটে যায়
– মাকসুদ
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দিন চলে যায় ঋতুর খেয়ায়, আসে ও যায় বছর মাস কারো কাটে কষ্টে আবার কেউ বা করে সুখেই বাস বদল খেলায় রঙিন আলোয় সুবজ পাতায় লাগে দোল বছর ঘুরে বোশেখ আসে একতারা ও বাজে ঢোল।
– শাহানারা রশিদ
ফিরে ফিরে বারবার সে এসেছে প্রতিটি বারে সেই সে নবীন পহেলা বৈশাখ… শুভকামনায় নববর্ষ রঙিন
– সংগৃহীত