২৬ শে মার্চ এর কবিতা – স্বাধীনতা দিবসের ছোট কবিতা ২০২৪
![২৬ শে মার্চ এর কবিতা](/wp-content/uploads/2022/03/২৬-শে-মার্চ-এর-কবিতা-780x470.png)
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস। আজকে এই আর্টিকেলের 26 শে মার্চ এর কবিতা ছোটগল্প এবং ছোট কবিতা আলোচনা করব। আপনি যদি স্বাধীনতা দিবসের কবিতা, স্বাধীনতা দিবসের ছোট কবিতা অনলাইনে অনুসন্ধান করেন তাহলে এই নিবন্ধ আপনাকে স্বাগতম।
১৯৭১ সালের 26 শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। 25 শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনারা এদেশের ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যা চালায়। হাজার হাজার নিরীহ বাঙালি কি এদিন নির্বিচারে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা। রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তানে। পরেরদিন ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেই দিন থেকেই বাংলাদেশ 26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় থাকে।
স্বাধীনতা দিবসের ছোট কবিতা ২০২৪
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কবিতা লিখুন এবং কবিতা আবৃতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এই সকল প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনি আমাদের এই নিবন্ধ থেকে 26 শে মার্চের বেশ কিছু ছোট ছোট কবিতা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। এই কবিতাগুলো থেকে আপনি ধারণা নিয়ে নতুন করে কবিতাও তৈরি করতে পারবেন। তাই আপনি যদি স্বাধীনতা দিবসের কবিতা পেতে চান তাহলে এই নিবন্ধ থেকে সংগ্রহ করে নিন।
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কবিতা লিখুন প্রতিযোগিতা আপনি অংশগ্রহণ করতে পারেন । আপনার সাহায্য পেয়ে আমরা এই নিবন্ধে ২৬ মার্চের ছোট কবিতা গুলো সংযুক্ত করেছি।
অস্ত্র সমর্পণ
-হেলাল হাফিজ
মারণাস্ত্র মনে রেখো ভালোবাসা তোমার আমার।
নয় মাস বন্ধু বলে জেনেছি তোমাকে, কেবল তোমাকে।
বিরোধী নিধন শেষে কতোদিন অকারণে
তাঁবুর ভেতরে ঢুকে দেখেছি তোমাকে বারবার কতোবার।
মনে আছে, আমার জ্বালার বুক
তোমার কঠিন বুকে লাগাতেই গর্জে উঠে তুমি
বিস্ফোরণে প্রকম্পিত করতে আকাশ, আমাদের ভালবাসা
মুহূর্তেই লুফে নিত অত্যাচারী শত্রুর নি:শ্বাস।
মনে পড়ে তোমার কঠিন নলে তন্দ্রাতুর কপালের
মধ্যভাগ রেখে, বুকে রেখে হাত
কেটে গেছে আমাদের জঙ্গলের কতো কালো রাত!
মনে আছে, মনে রেখো
আমাদের সেই সব প্রেম-ইতিহাস।
অথচ তোমাকে আজ সেই আমি কারাগারে
সমর্পণ করে, ফিরে যাচ্ছি ঘরে
মানুষকে ভালোবাসা ভালোবাসি বলে।
যদি কোনোদিন আসে আবার দুর্দিন,
যেদিন ফুরাবে প্রেম অথবা হবে না প্রেম মানুষে মানুষে
ভেঙে সেই কালো কারাগার
আবার প্রণয় হবে মারণাস্ত্র তোমার আমার।
২৬ শে মার্চ এর কবিতা ২০২৪
ছোটদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা দিবসের কবিতা লিখুন প্রতিযোগিতার জন্য আপনি এই নিবন্ধ থেকে ছোট ছোট কবিতা গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আমরা ছোটদের জন্য খুব সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখে আপনাদের সাহায্য করতে ইচ্ছুক।আপনি এখান থেকে সংগ্রহকৃত কবিতাগুলো হুবহু তুলে না ধরে নিজের মত করে সাজিয়ে নতুনভাবে তৈরি করে নিতে পারবেন।
এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়
হুমায়ুন আজাদ
এ লাশ আমরা রাখবো কোথায় ?
তেমন যোগ্য সমাধি কই ?
মৃত্তিকা বলো, পর্বত বলো
অথবা সুনীল-সাগর-জল-
সব কিছু ছেঁদো, তুচ্ছ শুধুই !
তাইতো রাখি না এ লাশ আজ
মাটিতে পাহাড়ে কিম্বা সাগরে,
হৃদয়ে হৃদয়ে দিয়েছি ঠাঁই।
শহীদদের প্রতি
__আসাদ চৌধুরী
তোমাদের যা বলার ছিল
বলছে কি তা বাংলাদেশ ?
শেষ কথাটি সুখের ছিল ?
ঘৃণার ছিল ?
নাকি ক্রোধের,
প্রতিশোধের,
কোনটা ছিল ?
নাকি কোনো সুখের
নাকি মনে তৃপ্তি ছিল
এই যাওয়াটাই সুখের।
তোমরা গেলে, বাতাস যেমন যায়
গভীর নদী যেমন বাঁকা
স্রোতটিকে লুকায়
যেমন পাখির ডানার ঝলক
গগনে মিলায়।
সাঁঝে যখন কোকিল ডাকে
কারনিসে কি ধুসর শাখে
বারুদেরই গন্ধস্মৃতি
ভুবন ফেলে ছেয়ে
ফুলের গন্ধ পরাজিত
স্লোগান আসে ধেয়ে।
তোমার যা বলার ছিল
বলছে কি তা বাংলাদেশ ?
২৬ শে মার্চ এর ছোট কবিতা ২০২৪
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কবিতা এই নিবন্ধে সংযুক্ত করেছি। স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কিত এই কবিতাগুলো পরে আপনি একদিকে আপনার জ্ঞান কে আরও সমৃদ্ধ করতে পারবেন অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে উপলব্ধি আরো বাড়িয়ে তুলতে পারবেন। কারণ, প্রত্যেক বাঙালির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।
ছাব্বিশে মার্চ
– স্বপন শর্মা
সংগ্রামী চেতনায় বিজয়ের উল্লাস;
হাসি গান আর আবেগের প্রকাশ।
জন্ম অধিকার বাঙ্গালী
বিশ্ব মাঝে বাংলা জাতীয় ইতিহাস;
যার নেপথ্য নায়ক –
মহান ছাব্বিশে মার্চ।
মায়ের অপত্য স্নেহ
বোনের হৃদয় নিংরানো ভালোবাসা
ঐক্য, সম্প্রীতি, সদ্ভাব-
ছাব্বিশেই যার উদ্ভব।
মুক্তির আত্নপ্রতয়ে ভাঙ্গল যারা শিকল
আনল যারা স্বাধীনতা
আমরা তাদের ভুলিনী
এবং ভুলব না।
অনেক চড়াই উৎরাই পেরিইয়ে
আর বলার অপেক্ষায় থাকে না
আমরা আজ স্বাধীন।
আমরা আজ স্বাধীন সংগ্রামী চেতনায়
বিজয়ের উল্লাস থাকবে মোদের
আনন্দ হাসি গান আর জাতীয় চেতনায়।
কেউ ছুটবে ফুলের তোড়া নিয়ে
কেউ ফেস্টুন হাতে-
রঙ্গীন আভা নিয়ে উদিত হয় সূয্য টা
পূর্ব আকাশে।
সে কোন আগ্রহ আর ব্যাকুলতা।
অনেকে হয়ত আজ জানোনা
কেন ফিরে আসে এই দিন?
এখনো সেই সব বাঙ্গালী রাজাকার
ক্ষুদিতের খানা গ্রাসে-
রনরোষ নিয়ে আসতে চায়;
এই দিনে আজ প্রতিবাদ হোক তার
আমাদের এই স্বাধীন বাংলায়।
উচ্চারণগুলি শোকের – আবুল হাসান
লক্ষি বউটিকে আমি আজ আর কোথাও দেখিনা, হাটি হাটি শিশুটিকে কোথাও দেখিনা, কতগুলি রাজহাঁস দেখি নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখি, কতগুলি মুখস্থ মানুষ দেখি, বউটিকে কোথাও দেখিনা শিশুটিকে কোথাও দেখিনা!
তবে কি বউটি রাজহাঁস? তবে কি শিশুটি আজ সবুজ মাঠের সূর্য, সবুজ আকাশ?
অনেক রক্ত যুদ্ধ গেলো, অনেক রক্ত গেলো, শিমুল তুলোর মতো সোনারূপো ছড়ালো বাতাস।
ছোটো ভাইটিকে আমি কোথাও দেখিনা, নরোম নোলক পরা বোনটিকে আজ আর কোথাও দেখিনা!
কেবল পতাকা দেখি, কেল উৎসব দেখি, স্বাধীনতা দেখি,
তবে কি আমার ভাই আজ ঐ স্বাধীন পাতাকা? তবে কি আমার বোন, তিমিরের বেদীতে উৎসব?
একটি পতাকা পেলে হেলাল হাফিজ
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন,–’পেয়েছি, পেয়েছি’।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে-বোশেখে, বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে-ভাতে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে, সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।