হোলি ২০২৩ কবে? | দোল পূর্ণিমা ২০২৩ কবে?
সম্মানিত পাঠক, আজকের এই নিবন্ধে আমরা হোলি অথবা দোল পূর্ণিমা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি। এই নিবন্ধে আমরা হলুদ সময়সূচী অর্থাৎ হোলি ২০২৩ কবে?/দোল পূর্ণিমা ২০২৩ কবে? ইত্যাদি নানান বিষয়ে আলোচনা করব। তাই আপনি যদি হোলি সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্ন উত্তর সহ জানতে চান তাহলে এই নিবন্ধে আপনাকে স্বাগতম।
দোলযাত্রা ২০২৩
হোলি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যময় উৎসব। এই উৎসবের অপর নাম দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা। আবার কেউ কেউ বসন্ত উৎসব নামেও অভিহিত করে। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনের শ্রীকৃষ্ণ আবির খেলেছিলেন রাধিকা ও গোপিগনের সঙ্গে।সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়।
হোলি ২০২৩ কবে?
প্রাচীনকাল থেকে দোল পূর্ণিমা বা হোলি ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন অনুষ্ঠিত হয়। এটি মূলত বাংলা তারিখ। কিন্তু বর্তমানে সকলেই ইংরেজি তারিখ এর প্রতি অভ্যস্ত হওয়া ফাল্গুনী পূর্ণিমা বাংলা তারিখ সম্পর্কে অবগত নয়। আজকে আমরা হোলির সময়সূচী আলোচনা করতে যাচ্ছি।
এ বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে হোলি অনুষ্ঠিত হবে 8 মার্চ।
দোল পূর্ণিমা ২০২৩ কবে?
দোল পূর্ণিমা আনন্দদায়ক একটি ধর্মীয় উৎসব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিন তার প্রিয়তমা রাধিকার সাথে বৃন্দাবনে আবির খেলা মেতেছিলেন। সেই থেকে সকলেই দোল পূর্ণিমার দিন আবিরের রঙ্গে নিজেকে রাঙ্গিয়ে তুলে। এবং একে অপরের সাথে আবীর খেলায় মেতে ওঠে। আপনি কি জানেন ২০২৩ সালের দোল পূর্ণিমা কত তারিখ? না জেনে থাকেন তাহলে কোন সমস্যা নেই। আমরাই আপনাদের বলে দিচ্ছি।
২০২৩ সালের দোল পূর্ণিমা ৮ মার্চ।
হোলি ২০২৩ ইংরেজি কত তারিখ?
হোলি একটি অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানটি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হলে ও সকল ধর্মালম্বী মানুষজন এই অনুষ্ঠানটি বেশ আনন্দের সহিত পালন করে থাকে। আপনি কি জানেন এই অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠানটি ইংরেজি কত তারিখে? হোলি এ বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে 8 ই মার্চ তারিখে।
দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বহ্ন্যুৎসব হোলিকা দহন বা নেড়াপোড়া নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।