এসএসসি গ্রেডিং পদ্ধতি ২০২৩ [জিপিএ হিসেব]
এ বছরই চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষানীতি। এ শিক্ষানীতিতে সর্বপ্রথম জেটিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেটি হচ্ছে জিপিএ। প্রচলিত পদ্ধতি জিপিএ ফাইভ এর মধ্যে পরীক্ষা হয়ে আসতে ছিল। কিন্তু সেই পদ্ধতি বাদ দিয়ে এবার থেকে কার্যকর হচ্ছে সর্বোচ্চ বিচারের মধ্যে পরীক্ষা। তো আপনি যদি ২০২৩ সালে শিক্ষানীতি তে জিপিএ গ্রেডি সিস্টেম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাহলে এই নিবন্ধটি আপনার জন্য।এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ জিয়ারুল হক বলেন নতুন গ্রেডিং পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষা ও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জিপিএ 4 কার্যকর করা হবে। এ নতুন পদ্ধতি অনেকের কাছেই অজানা। আপনি যদি নতুন জিপিএ পদ্ধতি সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে নিচে এর মানবন্টন এবং গ্রেডিং সিস্টেম একনজরে দেখে নিতে পারেন।
GPA কত সাল থেকে শুরু হয়েছে?
জিপিএ পদ্ধতির কথা মাথায় আসলে অনেকের মধ্যেই হয়তো প্রশ্ন জাগে। কবে থেকে বাংলাদেশের জিপিএ পদ্ধতি চালু হচ্ছে। সেই প্রশ্নের উত্তর আমি নিচে নিবন্ধ সংযুক্ত করেছি।বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে বুয়েটে প্রথমবারের মত গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। তারপর ২০০১ সালে এসএসসি এবং ২০০৩ সালে এইচএসসি-তে চালু করা হয়।
2021 সালের জিপিএ ৪ গ্রেডিং সিস্টেম
জিপি অফার গ্রেডিং সিস্টেমে সর্বোচ্চ 90 প্লাস নাম্বার পেলে এ প্লাস নাম্বার।নতুন গ্রেডিং পদ্ধতিতে দেখা গেছে, ৯০ থেকে ১০০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের লেটার গ্রেড ‘এ প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট হবে ৪, যা সর্বোচ্চ ফল। এরপর ৮০ থেকে ৮৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘এ’ ও গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫, ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘বি প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট ৩, ৬০ থেকে ৬৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘বি’ ও গ্রেড পয়েন্ট ২.৫, ৫০ থেকে ৫৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘সি প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট ২, ৪০ থেকে ৪৯ প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘সি’ ও গ্রেড পয়েন্ট ১.৫, ৩৩ থেকে ৩৯ প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘ডি’ ও গ্রেড পয়েন্ট হবে ১ এবং শূন্য থেকে ৩২ প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘এফ’ ও গ্রেড পয়েন্ট হবে শূন্য।90-100 A+ (4.00)
90+ A+(4.00)
80-89 A (3.50)
70-79 B+ (3.00)
60-69 B (2.50)
50-59 C+ (2.00)
40-49 C (1.50)
33-39 D (1.00)
00- 32 F (0.00)
প্রচলিত gpa-5 গ্রেডিং সিস্টেম
প্রচলিত gpa-5 গ্রেডিং সিস্টেমে একজন পরীক্ষাতেই সর্বোচ্চ 80 প্লাস নাম্বার পেলে এ প্লাস নাম্বার পেত। এই পদ্ধতিতে সাধারণত প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক সমমান পরীক্ষা পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। আমি নিচে একটি টেবিল সংযুক্ত করেছি সে টেবিল থেকে আপনি খুব সহজেই প্রচলিত গ্রেডিং পদ্ধতি সাথে বর্তমানে গ্রেডিং সিস্টেম তুলনা করতে পারেন।
80+ A+ (5.00)
70-79 B+ (4.00)
60-69 B (3.50)
50-59 C+ (3.00)
40-49 C (2.00)
33-39 D (1.00
00- 32 F (0.00)
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার গ্রেডিং পদ্ধতি
এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার গ্রেডিং পদ্ধতি কিভাবে করা হবে। বিশ্বব্যাপী করণা ভাইরাসের কারণে এ বছর যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। অবশেষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও পরীক্ষা পূর্ণ 100 নাম্বারের অনুষ্ঠিত না হয় মাত্র ৫০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে 32 নম্বরের পরীক্ষা বলতে 32 নম্বরের লিখিত ও নৈবেত্তিক পরীক্ষা হচ্ছে। বাকি 18 নম্বর প্রাক্টিক্যাল এবং অ্যাসাইনমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে । এখন প্রশ্ন হলো এর মধ্যেই গ্রেডিং পদ্ধতি কিভাবে নির্ধারণ করা হবে। ২০২৩ সাল কর্তৃক gpa-4 গ্রেডিং সিস্টেমে দেওয়া হবে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে পারসেন্টেন্স বার করতে হবে। তাহলে একজন পরীক্ষার্থী গ্রেটিং আপনি বের করতে পারবেন।