উক্তি

কোরবানি ঈদ নিয়ে উক্তি

কোরবানি ঈদ নিয়ে উক্তি । সামনে কোরবানির ঈদ তাই আজকের এই নিবন্ধে আমরা কোরবানি নিয়ে কিছু উক্তি আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনি অবশ্যই এবার ঈদ উল আযাহায় কুরবানী দেওয়ার কথা মনস্থির করেছেন অথবা আপনার পরিবার থেকে কুরবানী দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে। কোরবানি শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রিয় জিনিসকে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে দেওয়া। আপনি কি জানেন? কোরবানির সম্পর্কে আপনার প্রিয় ব্যক্তিবর্গ কি কি মন্তব্য করে গেছে অথবা কুরবানী ঈদ নিয়ে আপনার প্রিয় ব্যক্তিত্ব কি কি উক্তি দিয়ে গেছে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই অনুচ্ছেদ হতে জেনে নিন কুরবানী ঈদ সম্পর্কিত কিছু উক্তি।

আরবি শব্দ ঈদ অর্থ হল খুশি। ঈদের দিন সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মুসল্লী আনন্দের জোয়ারে ভেসে ওঠে। শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর সকল মুসলিম রাষ্ট্র ঈদ ব্যাপক উৎসহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করে।

ঈদ উল আযহা একটি আরবি শব্দ এই শব্দের অর্থ হলো ত্যাগের উৎসব। অর্থাৎ ঈদুল আযহা মানে ত্যাগের উৎসব। ত্যাগের মহিমা নিয়ে আসে ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টির জন্য সারা বিশ্বের মুসল্লীগণ এদিন কুরবানী দিয়ে থাকে। কিন্তু কুরবানী সম্পর্কে কিছু উক্তি দিয়ে গেছে পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। আসুন আমরা এক নজরে সে সকল ব্যক্তিবর্গের কুরবানী সম্পর্কে উক্তিগুলো দেখে নেই।

কোরবানি নিয়ে উক্তি

“দিও নাকো পশু কোরবানি,
বিফল হবে রে সবখানি
মনের পশুরে করো জবাই,
পশুরাও বাঁচে বাঁচে সবাই”

– (কাজী নজরুল ইসলাম)

 

 

ঈশ্বরকে খুশি করার স্বার্থে আত্মত্যাগের মহান ব্রত নিয়ে মোমিনেরা পশু কোরবানী করে থাকে। তাহলে আমরা পাই,

মোমিনের আত্মত্যাগ= পশুর প্রাণত্যাগ

=>মোমিন+আত্মা+ ত্যাগ= পশু+প্রাণ+ত্যাগ

=>মোমিন+প্রাণ+ত্যাগ=পশু+প্রাণ+ত্যাগ [যেহেতু, আত্মা=প্রাণ]

আলী আহা বলেন—– ‘কোরবানি মানেই হলো ত্যাগ।

 

***একই পরিবারের সব সদস্য পৃথক
পৃথকভাবে নেসাবের মালিক হলে
সবার ওপর আলাদাভাবে কোরবানি
ওয়াজিব।
***জীবিকা নির্বাহের জন্য যে
পরিমাণ জমি ও ফসলের দরকার তা
থেকে অতিরিক্ত জমি ও ফসলের মূল্য
অথবা যেকোনো একটির মূল্য নেসাব
পরিমাণ হলেও কোরবানি ওয়াজিব।
***ঈদুল আজহার দিন প্রয়োজনীয় খরচ
ব্যতীত সাড়ে সাত তোলা সোনা বা
সাড়ে বাহান্ন তোলা রুপা কিংবা
সমপরিমাণ সম্পদ যার কাছে থাকবে
তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।
কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য
নেসাব পরিমাণ মাল পূর্ণ এক বছর
থাকা জরুরি নয়, কোরবানির শেষ দিন
সূর্যাস্তের আগেও যদি কেউ নেসাব
পরিমাণের মালিক হয়, তাহলে তার
ওপরও কোরবানি ওয়াজিব।
***কোরবানির গোশত :
কোরবানির গোশত নিজে খাবে
এবং গরিব-মিসকিনদের খাওয়াবে।
উত্তম পন্থা হচ্ছে গোশত তিন ভাগে
ভাগ করা, এক ভাগ গরিব-মিসকিনকে
দান করা। এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে
দেয়া এবং এক অংশ নিজ পরিবারের
জন্য রাখা।
***রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন,
কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার
আগেই কোরবানিদাতার কোরবানি
আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায় এবং
তার অতীতের সব গুনাহ মোচন করে
দেয়া হয় (তিরমিজি শরিফ : ১/১৮০)।
কোরবানির মাসায়িল :
ঢালাওভাবে সবার ওপর কোরবানি
ওয়াজিব নয়। শুধু নেসাব পরিমাণ
মালের মালিকের ওপর কোরবানি
ওয়াজিব।
যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব :

Md Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।
Back to top button